ফাইল চিত্র
পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারিকেই রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন করল রাজ্য সরকার। দুই সদস্যের প্রশাসক বোর্ডে পুরসভার উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকারকেও রাখা হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৭ মে। তার পরদিন, অর্থাৎ ১৮ মে প্রশাসক বোর্ড পুরসভার দায়িত্ব নেবে।
১৭ মে রবিবার হওয়ায় দু’দিন আগে, শুক্রবার রাতে রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের গঠনের বিষয়টি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর পুরসভাকে জানিয়ে দেয়। রামপুরহাট পুরসভার পাশাপাশি জেলার সাঁইথিয়া, বোলপুর, সিউড়ি এই তিন পুরসভার একসঙ্গে ভোট হলেও বোর্ড গঠনের প্রথম সভা আলাদা আলাদা দিনে হওয়ার জন্য পুরসভা গুলির মেয়াদ শেষের দিন আলাদা। সেখানে মেয়াদ শেষের পর পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আগামী ২০ মে সাঁইথিয়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পরের সপ্তাহে ২৫ মে বোলপুর পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সিউড়ি পুরসভার মেয়াদ ৩ জুন শেষ হচ্ছে। তিনটি পুরসভার মেয়াদ এখনও শেষ না হওয়ায় ওই পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে কাদের রাখা হচ্ছে তাই নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। কবে নির্দেশ আসবে তা জানা নেই বলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও দাবি করেছেন।
সিউড়ি মহকুমার অধীন সিউড়ি ও সাঁইথিয়া পুরসভার মেয়াদ ফুরোলে সেখানে মহকুমাশাসককে প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রাখার সম্ভাবনা নেই। কারণ ইতিমধ্যে সিউড়ি মহকুমাশাসকের অধীনে মহকুমার আর একটি পুরসভা, দুবরাজপুরের প্রশাসক পদে আছেন মহকুমাশাসক। সেক্ষেত্রে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে রামপুরহাট পুরসভায় প্রশাসক বোর্ডের মাথায় শাসক দলের কর্তাব্যক্তিদের বসানোর ক্ষেত্রে বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধূরী বলেন, ‘‘পিছনের দরজা দিয়ে সরকার শাসক দলের বিগত বোর্ডের পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানকে ক্ষমতায় রেখে দিল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘শাসক দলের অন্দরমহলে
নিজেদের কাউন্সিলরদের মধ্যে পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ আছে। ভোটেই এর প্রভাব বুঝতে পারবে শাসক দল।’’ বিদায়ী পুরবোর্ডের আরেক সদস্য এবং সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব মল্লিকের অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিগত বোর্ডের নানান উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাটমানি এবং দুর্নীতি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরপ্রধান এবং উপপ্রধানকে নানা সময়ে কটাক্ষ ও তিরস্কার করেছেন। সেই দুর্নীতিগ্রস্ত পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের প্রতি রাজ্য সরকার ভরসা রাখলেনে। এর থেকেই বোঝা যায় এই সরকারের কোনও রকম দুর্নীতির তদন্ত হবে না।’’
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য যথার্থ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে রাজ্যে করোনা নিয়ে সঙ্কট মূহূর্তে মহকুমাশাসক থেকে অন্য আধিকারিকরা নানান দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক কার্যকলাপও দেখতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যারা পুরসভার কাজ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল তাঁদের প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রেখে সরকার ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অশ্বিনী তিওয়ারি এবং সদস্য সুকান্ত সরকার বলেন, ‘‘বিরোধীরা রাজনীতি করার জন্য যা বলার বলবে। আমরা পুরবাসীর সেবায় সরকার যে দায়িত্ব দিয়েছে তা এই কঠিন সময়ে বা আগামী দিনে, যথাযথভাবে পালন করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy