Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

পথভোলা শিশু, ফেরালেন বাসিরা

দিদার সঙ্গে মামাবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তিন বছরের হামিদুলের। সেই খুশিতে বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে একাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। একটি বাসে চেপে বসে। কিন্তু পথ চেনা ছিল না তার। শেষে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার হাত ধরে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। শনিবার সকালের ঘটনা।

নিরাপদ: বাসিরার কোলে হামিদুল। শনিবার তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

নিরাপদ: বাসিরার কোলে হামিদুল। শনিবার তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০১:৩৩
Share: Save:

দিদার সঙ্গে মামাবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তিন বছরের হামিদুলের। সেই খুশিতে বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে একাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। একটি বাসে চেপে বসে। কিন্তু পথ চেনা ছিল না তার। শেষে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার হাত ধরে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। শনিবার সকালের ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তারাপীঠ থানার সন্ধ্যাজোল গ্রামের বাসিরা বেগম কাজ করেন রামপুরহাট ২ ব্লকের বুধিগ্রামের ৩১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এ দিন সকালেও কাজে গিয়েছিলেন বাসিরা। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়ি ফেরার জন্য বুধিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে রামপুরহাট থেকে আসা একটি বাসে উঠেছিলাম। বাসটির শেষ স্টপেজে অন্য সবাই বাস থেকে নেমে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দেখতে পাই, একটি শিশু জড়োসড়ো হয়ে বাসে বসে রয়েছে।’’ তিনি জানান, তা দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। যাত্রীরাও কেউ শিশুটিকে চিনতে পারছিলেন না। হতবাক হয়ে যান চালক, কন্ডাক্টরও।

বাসিরা বেগম জানান, প্রচণ্ড ঘাবড়ে গিয়েছিল শিশুটি। কোনও কথা বলতে পারছিল না। অন্য কেউ তার দায়িত্ব্ নিতে এগিয়ে যাচ্ছেন না দেখে এগোন বাসিরাই। ব্লকের স্কুল হেলথ চিকিৎসক উৎপল হাজরাকে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। তার পরে শিশুটিকে নিয়ে যান তারাপীঠ থানায়। সেখানে পৌঁছন উৎপলবাবুও।

পুলিশ জানায়, তারাপীঠ থানা থেকে চাইল্ড লাইনে খবর দেওয়া হয়। থানায় যান চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিও। ঘণ্টাদু’য়েক পরে এ দিন দুপুরে তারাপীঠ থানায় আসেন হামিদুলের বাবা। শিশুটির আধার কার্ড, ছবি দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ভ্যানচালক মিরাজুল শেখ বলেন, ‘‘সকালে কাজে বেরিয়েছিলাম। ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে খবর আসে, ছোট ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টাতিনেক খোঁজাখুঁজির পরে খবর পেয়ে যাই তারাপীঠ থানায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ির ওই দিদিমণি এগিয়ে না এলে হামিদুলের যে কী হতো ভাবতেই ভয় লাগছে।’’ উৎপলবাবু বলেন, ‘‘বাসিরা বেগমের তৎপরতাই শিশুটিকে ফিরে পেল পরিবার।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi centre Missing Tarapith
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE