ত্রাণের ত্রিপল চাই। বৃহস্পতিবার ডিএম অফিসে বিক্ষোভ ক্ষতিগ্রস্তদের। —নিজস্ব চিত্র।
ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে গত রবিবার। তার আঁচ এখনও পাচ্ছে শহর পুরুলিয়া।
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রাণের ত্রিপল বিলিকে ঘিরে দলবাজির অভিযোগ নিয়ে বুধবার কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে তেতে উঠেছিল পুরুলিয়া শহর। ত্রাণের দাবিতে বৃহস্পতিবার ফের বিক্ষোভ দেখালেন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জেলাশাসকের কাযার্লয়ে পৌঁছে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি ছিল, গত রবিবারের শিলাবৃষ্টিতে তাঁদেরও অ্যাসবেস্টস, টালি বা মাটির খোলার চালা ফুটো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও তাঁরা ত্রাণের ত্রিপল পাননি।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এ দিনও ছিলেন সিপিএমের পুরুলিয়া শহর জোনাল কমিটির নেতারা। কমিটির সম্পাদক কৌশিক মজুমদার বলেন, ‘‘যাঁরা এ দিন এসেছেন, তাঁরা এখনও ত্রাণ পাননি। পুরসভায় গিয়েও তাঁরা খালি হাতে ফিরেছেন। তাঁদের নাম এখনও পুরসভার ত্রাণ বিতরণের তালিকায় জায়গা পায়নি। স্বভাবতই এই সব মানুষের মনে ক্ষোভ জন্মেছে।’’ তিনি জানান, এ দিন দলের তরফে তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণ নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং দাবি করেছেন, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেই ত্রাণ দিতে হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরের সুপারিশের ভিত্তিতে যে ভাবে ত্রাণের ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার দাবিও তুলেছে সিপিএম। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘কারণ যাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এ বারও বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেই কাউন্সিলরেরাই যদি ফের ত্রাণের ত্রিপল বিলি করেন, তা হলে আদর্শ নিবার্চনী আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই পদ্ধতিতে ত্রাণ বিলি বন্ধ করা দরকার।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভাও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিৎ দেবনাথ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। যদিও সিপিএমের অভিযোগ মানতে চাননি পুরুলিয়া পুরসভার নিবার্হী আধিকারিক দিলীপ পাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে বা ওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে ত্রাণের ত্রিপল বিলি করা হবে। যেখানে এ ভাবে বিলি করা যাচ্ছিল না, সেখানেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরের সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছিল। এ বার আমরা ঠিক করেছি, কাউন্সিলরদের সুপারিশের ভিত্তিতে ত্রাণ বিলি হবে না। বরং যা আবেদন জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে আগে তদন্ত করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা। তার পরই ত্রাণ দেওয়া হবে।’’ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ওঁরা যে তালিকা জমা দিয়েছেন, তাতে কিছু নামের পাশে কোন ওয়ার্ড নম্বর লেখা নেই। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে আমরা তদন্ত করব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy