শ্যালিকার ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীর খোঁজ মিলছে না কয়েক দিন ধরে। ক্ষোভে শ্যালিকার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। শনিবার এই কাণ্ড ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের দু’নম্বর ওয়ার্ডের দরবার এলাকায়। অভিযুক্ত জামাইবাবুকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বছর দশেক আগে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা পাপ্পু সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজল মণ্ডলের। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, পাপ্পু মত্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী কাজলের উপর অত্যাচার করতেন। দিন কয়েক আগে মেলা দেখার জন্য কাজল, পাপ্পু এবং সন্তানদের নিয়ে বিষ্ণুপুরে বাপের বাড়ি যান। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাপ্পু মত্ত অবস্থায় কাজলকে বেধড়ক মারধর করেন। এর পর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কাজল শুক্রবার বিষ্ণুপুর শহরের দরবার এলাকায় তাঁর বোন পূজা মণ্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই দিন বিকালে কাজল সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে যান। পূজা তাঁর দিদিকে লুকিয়ে রেখেছেন, এই সন্দেহে পাপ্পু শ্যালিকার সঙ্গে ঝগড়াও করেন। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো পাপ্পু শান্ত হন। শনিবার সকালে পূজা বাড়ি থেকে বেরোলে পাপ্পু আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তত ক্ষণে অবশ্য বাড়িটি পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। এর পর উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত পাপ্পুকে ধরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পূজার অভিযোগ, “আমার জামাইবাবু বোনকে খুঁজে না পেয়ে গতকাল আমার বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। আমার বাড়িতে বোন লুকিয়ে নেই— এ কথা বলার পরেও তাঁর রাগ কমেনি। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে জামাইবাবু আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’’ পাপ্পুর অবশ্য বক্তব্য, “আমি আগুন লাগাইনি। কী ভাবে আগুন লাগল, তা আমি জানি না। আমি পূজার সঙ্গে ঝগড়া করিনি।’’
ঘটনাস্থলে যান বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক অর্চিতা বিদ এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অর্চিতা বলেন, “পূজা অসহায় মহিলা। বিষ্ণুপুর পুরসভার ওই পরিবারটির পাশে আছে।’’ তন্ময় বলেন, “বাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই বাড়িটি সরকারি ভাবে করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। সাময়িক ভাবে পরিবারটিকে খাবার, ত্রিপল এবং কম্বল দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy