Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

আন্ত্রিকে অসুস্থ ৫০

আন্ত্রিক ছড়িয়েছে হুড়ার কুসুমজোড়িয়া গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে পেটের রোগে অসুস্থ হয়ে ৫০ জনের বেশি গ্রামবাসী ভর্তি হয়েছেন হুড়া ও কাশীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুড়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫২
Share: Save:

আন্ত্রিক ছড়িয়েছে হুড়ার কুসুমজোড়িয়া গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে পেটের রোগে অসুস্থ হয়ে ৫০ জনের বেশি গ্রামবাসী ভর্তি হয়েছেন হুড়া ও কাশীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁদের মধ্যে বুধবার হুড়ার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত্যু হয় গান্ধারী মাহাতো (৭০) নামের এক বৃদ্ধার।

মৃতার ছেলে যুধিষ্ঠির মাহাতোর দাবি, ‘‘অসহ্য পেট ব্যথা, বারবার বমি ও পায়খানায় মা ভুগছিল। সে জন্য মাকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। সেখানেই মা মারা গেল!’’ ওই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গান্ধারীদেবী ভর্তি হয়েছিলেন বলে স্বীকার করলেও, আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে মানতে চাননি হুড়ার বিএমওএইচ নরেন্দ্রনাথ সরেন। তাঁর দাবি, ‘‘বার্ধক্যজনিত রোগে গান্ধারীদেবীর মৃত্যু হয়েছে।’’

হুড়ার দলদলি পঞ্চায়েতের কুসুমজোড়িয়া গ্রামে পেটের রোগে ইতিমধ্যে জনা পঞ্চাশ বাসিন্দা অসুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান প্রভাসচন্দ্র বাউরি। বুধবারেও ছ’জন গ্রামবাসী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পেট ব্যথা, ঘনঘন বমি, সাথে পায়খানার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কুসুমজোড়িয়া গ্রামে পেটের রোগ ছাড়ানোয় গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দাদের দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং ও ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। গ্রামের একটি পুকুরের জল থেকে রোগ ছড়াচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই পুকুরের জল আপাতত ব্যবহার করতে মানা করা হয়েছে। প্রধান প্রভাসবাবু বলেন, ‘‘পুকুরের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামের যে টিউবওয়েলের জল বাসিন্দারা ব্যবহার করেন সেই জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। ওই গ্রামের কেউ পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

—নিজস্ব চিত্র

অন্য বিষয়গুলি:

dysentery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE