ঝকঝকে: কাশীপুরে একটি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
মাথার উপর ছাদ পেল কাশীপুর ব্লকের ১৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই কেন্দ্রগুলি এত দিন অস্থায়ী ভাবে চলছিল। কোথাও ক্লাব ঘরে, কোনও গ্রামে কারও বাড়ির চালায় এই কেন্দ্রগুলি এত দিন চলছিল। তাতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির দাবি উঠছিল। দাবি মেনে, ৩০ জানুয়ারি একই সঙ্গে কাশীপুর ব্লকের ১৬টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা খুলে দেওয়া হল।
বিডিও (কাশীপুর) সুচেতনা দাস বলেন, ‘‘ব্লকের সিমলা-ধানেড়া, সোনাথলি, গগনাবাদ, বেকো, সোনাইজুড়ি, গৌরাঙ্গডি ও কাশীপুর এই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মোট ১৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়েছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্প, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ-সহ বিভিন্ন দফতরের আর্থিক সহায়তায় এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ব্যয় হয়েছে কমবেশি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।’’
কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুপ্রিয়া বেলথরিয়া জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। তাদের পড়াশোনার সহায়ক পরিবেশ যাতে গড়ে ওঠে, সেই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া জানান, এত দিন খুবই অসুবিধার মধ্যে চলছিল কেন্দ্রগুলি। কোথাও খোলা আকাশের নীচে, কোথাও স্কুলের এক পাশে, কোথাও অপরিসর ক্লাব ঘরে এত দিন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চলত। কোথাও কাছাকাছি জলেরও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে অনেক অসুবিধা হচ্ছিল। সেই সব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এক সঙ্গে ওই ১৬টি কেন্দ্র তৈরির কাজে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
অনের এলাকার বাসিন্দারা অপেক্ষা করে রয়েছেন, কবে তাঁদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও পাকা ছাদ পাবে। অভিভাবকদের অভিযোগ, অস্থায়ী ভাবে ওই সমস্ত কেন্দ্র চলায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নানা রকমের সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই ক্লাবের ঘরে, কারও বাড়ির বারান্দায়, গ্রামের আটচালায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। বর্ষায় ভাঙাচোরা ঘরে খুদেরা ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
কাশীপুর ব্লকে বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৫৯। তার মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো। বিডিও জানান, বাকি কেন্দ্রগুলি খোলা আকাশের নীচে চলছে না। সেগুলিকে ধাপে ধাপে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy