আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি কর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার রঘুনাথডি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অনিল গোপ (৫০)। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অনিলবাবু এ দিন ভোরে প্রাতঃকৃত্য সেরে পুকুর থেকে ফিরেছিলেন। সেই সময় মেঠো রাস্তায় দুই আততায়ী খুব কাছ থেকে অনিলবাবুর মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিছক রাজনৈতিক কারণেই এই খুন কি না, তা পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে এই খুনের পিছনে জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথডি গ্রামটির অবস্থান একেবারে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার তিরুলডি থানা লাগোয়া। এই গ্রামের কাছেই ঝাড়খণ্ডের ওই থানার অবস্থান। নিহত বিজেপি কর্মী বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও ঝাড়খণ্ডেই তাঁর কাজ কারবার ছিল। তবে, তিনি কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের ছেলে দীপক গোপ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের একজনের বাড়ি রঘুনাথডি গ্রামেই। ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের দু-তিনটি থানায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সে ঝাড়খন্ড পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় রয়েছে। দু’জনের খোঁজেই তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মী নিজেও একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডের পিরুলডি থানা এলাকায় ওই খুন হয়েছিল। সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতেও অনিলবাবুর নাম রয়েছে। পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনিল গোপ ঝাড়খণ্ডে আমাদের দলের কর্মী। তিনি ভাল সংগঠকও. ছিলেন। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর সভায় লোকও নিয়ে গিয়েছিলেন। সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নিবার্চন। রাজনৈতিক কারণে আমাদের ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে কি না, তা আমরা পুলিশকে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করব। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে, এমনও শুনেছি। ঘটনা যাই হোক, পুলিশ তদন্ত করে খুনের প্রকৃত কারণ বের করুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy