আরও গভীরে পাইপ বসানোর দাবি। —নিজস্ব চিত্র।
পাইপলাইনের জলে দুগর্ন্ধের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু সেই বাসিন্দাদের একাংশের আপত্তিতে জল সরবরাহের পাইপ বসানোর কাজ স্থগিত হয়ে গেল।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে মানবাজারের পোদ্দারপাড়া এলাকায় নতুন পাইপলাইন বসানোর জন্য মাটি খোঁড়া চলছিল। দাস পাড়া থেকে পোদ্দার পাড়ার হরিমন্দির মোড় অবধি নতুন পাইপলাইন বসানোর কথা। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাস্তার ধারে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাসিন্দারা দাবি করেন, পাইপ ফেলার জন্য গভীর গর্ত করা হচ্ছে না। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পাইপ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ভাগবত দত্ত, অজিত দত্ত বলেন, “এ দিন সকালে দেখি কয়েকজন শ্রমিক পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ছেন। কিন্তু কোথাও এক ফুট, কোথাও বা আরও কম খোঁড়া হয়েছে। এ ভাবে পাইপ বসালে অল্প দিনের মধ্যে চাপ পেয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা এ ভাবে দায়সারা ভাবে কাজ করার আপত্তি জানিয়েছি।”
মানবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র আনন্দময় সেনের অভিযোগ, “সামান্য গর্ত খুঁড়ে পাইপ বসিয়ে কাজ সারার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তাঁদের জানাই জল সরবরাহের পাইপ বসাতে গেলে ন্যূনতম ৩ ফুট গর্ত করা দরকার নতুবা গাড়ির চাপে পাইপ ভেঙে যাবে। তাতে জল সরবরাহ ব্যবস্থা ফের বিকল হয়ে পড়বে। এ ছাড়া পাইপের মানও ভাল নয়।”
কিছু দিন আগে পোদ্দারপাড়া এলাকায় কলে জলের সঙ্গে পোকা বেরোচ্ছিল। জলে দুর্গন্ধও ছিল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে জানিয়েছিলেন, মাটির তলায় সরবরাহের পাইপ ফুটো হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। ওই ফুটো দিয়ে খাবারের জলে পাশের নর্দমার নোংরা জল মিশছে।
ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দাস পাড়ার মূল পাইপ থেকে পোদ্দার পাড়ার হরিমন্দির পর্যন্ত নতুন পাইপ লাইন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাইপ বসানোর জন্য মাটি খোঁড়া শুরু হয়েছিল।
মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমি সমস্যাটি নিয়ে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত মাপ অনুযায়ী গর্ত করা হবে। তারপরে পাইপ বসানো হবে। তবে পাইপের গুণগত মান নিয়ে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়।” চেষ্টা করেও ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy