Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

ইলামবাজারে খুন বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

দিন কয়েক ধরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। নেমেছিল র‌্যাফ। তারই মধ্যে গুলি করে খুন করা হল শেখ এনামুল (১৯) নামে এক বিজেপি কর্মীকে। ঘটনাস্থল বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক, যেখানে লোকসভা ভোটের পরেই খুন হন আর এক বিজেপি কর্মী রহিম শেখ। বিজেপি যাঁকে এ রাজ্যে তাদের প্রথম ‘শহিদ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইলামবাজার শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫৮
Share: Save:

দিন কয়েক ধরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। নেমেছিল র‌্যাফ। তারই মধ্যে গুলি করে খুন করা হল শেখ এনামুল (১৯) নামে এক বিজেপি কর্মীকে।

ঘটনাস্থল বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক, যেখানে লোকসভা ভোটের পরেই খুন হন আর এক বিজেপি কর্মী রহিম শেখ। বিজেপি যাঁকে এ রাজ্যে তাদের প্রথম ‘শহিদ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধরমপুর পঞ্চায়েতের ডোমনপুর গ্রামে এনামুল খুনেও অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের দাবি, “বিজেপি করলে ফল ভাল হবে না জানিয়ে কয়েকদিন আগেই এলাকায় গিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ হুমকি দিয়েছেন। তার পরেই এই খুন।” আজ, শুক্রবার তিনি ওই এলাকায় যাবেন বলে জানান রাহুল।

রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “আমি ওই এলাকায় যাইনি। বিজেপি-ই সমাজবিরোধীদের নিয়ে এলাকা দখলে নেমেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” স্থানীয় সূত্রের খবর, ধরমপুর, মঙ্গলডিহি, বাতিকার পঞ্চায়েত এলাকায় সম্প্রতি নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে তৃণমূল-বিজেপির। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ, র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ দিন বিকেলে ফের সংঘর্ষ বাধে। বিজেপির ধরমপুর অঞ্চল সভাপতি শেখ রাইহানের অভিযোগ, “বিকেল ৪টে নাগাদ পাইকুনি গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়। তারাই ডোমনপুর গ্রামে বোমাবাজি শুরু করে। বাড়ি ছেড়ে মাঠের দিকে পালানোর সময় গ্রামেরই বাসিন্দা, পেশায় দিনমজুর এনামুলকে গুলি করে খুন করা হয়।” রাইহানের দাবি, এনামুল বিজেপি-র বুথ কমিটির সদস্য ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধরমপুর পঞ্চায়েতটি জেতে তৃণমূল। বিজেপি-র ইলামবাজার ব্লক পর্যবেক্ষক চিত্তরঞ্জন রক্ষিতের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কাউকে ঢুকতে দেয়নি। ভোটের পর থেকে ইলামবাজারে বিজেপি-র সমর্থন বাড়ছে। ভয় পেয়েই তৃণমূলের এই হামলা।” বিজেপি নেতাদের ক্ষোভ, বিজেপি-র শক্তিবৃদ্ধিতে ভয় পেয়েই খুন করা হয় রহিমকেও। বিজেপি-র অভিযোগ অস্বীকার করে জাফারুল বলেন, “তিন দিন ধরে বিজেপি গ্রামে-গ্রামে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে। এ দিন বিজেপি-আশ্রিত সমাজবিরোধীরা ধরমপুরও দখল করতে যায় বলে শুনেছি। স্থানীয়রা ঠেকিয়েছেন।”

পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের খবর পেয়ে পুলিশের একটি গাড়ি ডোমনপুর গ্রামে গেলে জনতা ভাঙচুর চালায়। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “রাজনৈতিক অশান্তি ছিল। কারা খুন করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

murder bjp tmc ilambazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE