Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

অবৈধ বালি কারবারকে ঘিরে উত্তেজনা গঙ্গাপুর বালিঘাটে

বালি তোলাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়াল ইলামবাজার থানার ঘুড়িষা পঞ্চায়েতের গঙ্গাপুর ঘাটে। বেআইনি বালি তোলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সরব হন ওই ঘাটের শতাধিক বালি শ্রমিক সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

দামোদরে অবৈধ বালি চুরি।—ফাইল চিত্র।

দামোদরে অবৈধ বালি চুরি।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইলামবাজার শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

বালি তোলাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়াল ইলামবাজার থানার ঘুড়িষা পঞ্চায়েতের গঙ্গাপুর ঘাটে। বেআইনি বালি তোলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সরব হন ওই ঘাটের শতাধিক বালি শ্রমিক সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

এ দিন সকাল থেকে ইলামবাজার থানা এলাকার অজয়ের গঙ্গাপুর ঘাটের বালি তোলার কাজ বন্ধ রাখার দাবিতে অবরোধে নামেন বালি শ্রমিকরা। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে সমস্যা দেখা যায়। ওই ঘাট লিজ নেন বর্ধমানের কৈলাশপুরের বাসিন্দা শেখ ফিরোজ। অভিযোগ, ওই লিজের সময় সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও, বেআইনি ভাবে শেখ ফিরোজ ওই ঘাট থেকে বালি তুলছিলেন। প্রতিবাদ করায় বালি তোলায় যুক্ত স্থানীয় শ্রমিকদের একাংশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন শেখ ফিরোজ। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। দিন কুড়ি আগে, দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তির আশঙ্কায়, ঘটনাস্থলে পুলিশও যায়। বালি শ্রমিকদের পক্ষে স্থানীয় বাবলু ঘোষ বলেন, “বেশ কয়েকবার আমরা এই বেআইনি বালি তোলার বিষয়ের প্রতিবাদে পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছে, কিন্তু কোনও কারণে কেউ কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিবাদে পথে নেমেছি।” শেখ ফিরোজকে এ দিন বার বার মোবাইলেও পাওয়া যায়নি। ইলামবাজারের ভুমি ও ভুমি সংস্কার আধিকারিক শিবপদ দাস বলেন, “গঙ্গাপুর ঘাটের বালি তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়ে আবেদন জমা দিতে হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলার দফতর অনুমতি মঞ্জুর করেন। এলাকায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলে খবর পাইনি।”

বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সিংহ বলেন, “বালিঘাট নিয়ে ওই এলাকায় তৃণমূল জট পাকাচ্ছে।” অন্য দিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম বলেন, “বিজেপি ওখানে জল ঘোলা করছে। স্থানীয়দের উস্কানি দিয়ে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। বাম জমানায় ৯ লক্ষ টাকা আদায় হত। আমরা ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছি।”

লাইনে কয়লা কুড়োনোর সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। রেল পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মতিনা বিবি(৩৯)। বাড়ি রামপুরহাট থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের বড় পাখুরিয়া গ্রামে। এ দিন সকালে রামপুরহাট স্টেশন ঢোকার মুখে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

অন্য বিষয়গুলি:

illegal sand mines gangapur ilambazar tension
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE