বয়সবিধিতে সিপিএমের পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়েছেন প্রকাশ কারাট এবং বৃন্দা কারাট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, একেবারে দম্পতিহীন হয়ে পড়ল পলিটব্যুরো। প্রকাশ-বৃন্দা বাদ গেলেও জায়গা পেলেন অশোক ধাওয়ালে এবং মারিয়াম ধাওয়ালে।
১৯৯৫ সালে প্রথম বার পলিটব্যুরো সদস্য হয়েছিলেন প্রকাশ। বৃন্দা সদস্য হন ২০০৫ সালে। তিনিই পলিটব্যুরোর প্রথম মহিলা সদস্য। প্রকাশ-বৃন্দাই এত বছর ধরে পলিটব্যুরোয় একমাত্র দম্পতি ছিলেন। এ বার তাতে বদল ঘটল। তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে সিপিএমের ২৪তম পার্টি কংগ্রেস বসেছে। সেখানে পলিটব্যুরো থেকে প্রকাশ, বৃন্দা-সহ মোট ছ’জন বাদ পড়েছেন। সিপিএম নিয়ম করেছে, ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে পারবেন না। আর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকেই সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পলিটব্যুরো নির্বাচিত হয়। এই বিধির কারণেই আটকে গিয়েছেন কারাট দম্পতি।
তবে এ বার পলিটব্যুরোয় সিপিএমের মহিলা সংগঠন ‘সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওয়ালে জায়গা পেয়েছেন। ফলে অশোক-মারিয়ামই এখন পলিটব্যুরোর ‘নব’দম্পতি। প্রসঙ্গত, মারিয়ামের স্বামী তথা মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা অশোক গত পার্টি কংগ্রেসেই পলিটব্যুরোয় জায়গা পেয়েছিলেন। অশোক পেশায় চিকিৎসক। পলিটব্যুরোয় আর এক চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি বাংলার রামচন্দ্র ডোম। প্রশ্ন, এই চিকিৎসকেরা কি পারবেন দলের ‘রোগ’ সারাতে? এর আগে ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন। তিনি এ বার বাদ পড়েছেন।
আগের পলিটব্যুরোয় দু’জন মহিলা ছিলেন। বৃন্দার সঙ্গে ছিলেন সুভাষিনী আলি। লক্ষ্মী সায়গলের কন্যা সুভাষিনীও এ বার বৃন্দার মতো বয়সের কারণে বাদ পড়েছেন। তবে নতুন পলিটব্যুরোতেও দু’জন মহিলার ঠাঁই হল। এক জন মারিয়াম। আর এক জন তামিলনাড়ুর নেত্রী ইউ বাসুকি।
এ বার পলিটব্যুরোয় সিটু-র সভানেত্রী কে হেমলতা এবং তাঁর পুত্র অরুণ কুমারকে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই জল্পনা ছিল। দু’জনেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে শেষমেশ পুত্রের জায়গা হল। ঠাঁই হল না মায়ের।