বিদায়: বড়মার শেষকৃত্যে ভিড়। বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
তাঁকে কাছে টানতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাহ্যাঁচড়া কম হয়নি। মতুয়াদের বড়মা, বীণাপাণি ঠাকুরের শেষকৃত্যেও চলল রাজনীতির দড়ি টানাটানি।
বড়মার দেহ কখন দাহ করা হবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বড়মার ছোটছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণের পরিবারের সঙ্গে বড়মার বড় বৌমা বনগাঁর সাংসদ মমতা ঠাকুর ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের মতবিরোধ দেখা দেয়। মঞ্জুলকৃষ্ণের ছেলে শান্তনু জানিয়ে দেন, দাহ হবে বিকেল চারটেয়। জ্যোতিপ্রিয়ও পাল্টা জানান, দুপুর বারোটা নাগাদ দাহ করা হবে। ফলে উত্তাপ বাড়তে থাকে মতুয়া ভক্তদের মধ্যেও।
এর মধ্যেই বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ, বড়মার দেহ নিয়ে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দির থেকে শোকযাত্রা বের হয়। ঠাকুরনগর ঘুরে পৌনে দুটো নাগাদ বড়মার দেহ তাঁর স্বামী প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের নামাঙ্কিত মন্দিরের সামনে রাখা হয়। মন্দিরের পিছনে চলছিল চিতা সাজানোর কাজ। সেখানে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় এবং মমতা ঠাকুর। মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে তাঁদের বাক্যালাপ হয়নি। দুপুর আড়াইটের সময় দেহ চিতায় তোলা হয়।
এ নিয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘প্রশাসন ও শাসক দলের লোকজন জোর করে বড়মার দেহ চিতায় নিয়ে যান।’’ জ্যোতিপ্রিয় পাল্টা বলেন বলেন, ‘‘মতুয়া ভক্ত কৃত্তিবাস ঠাকুরের কথা মতো ভক্তরাই দেহ চিতায় নিয়ে গিয়েছেন।’’
এর পর শুরু হয় ‘গান-স্যালুট’ পর্ব। চিতায় আগুন দেন মঞ্জুলকৃষ্ণ। বিকেল চারটে নাগাদ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরবাড়ি আসেন। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘শান্তনু কেন চারটের সময় দাহ করতে চাইছিলেন, তা মতুয়ারা এ বার বুঝতে পারছেন।’’ পাল্টা শান্তনু বলেন, ‘‘ওদের কেন এত তাড়া ছিল, তা বোঝা গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy