গোপাল তিওয়ারির নাগাল পেতে তাকে দরকার। তাই উত্তর শহরতলির দাগি দুষ্কৃতী ‘হাতকাটা’ দিলীপকে হেফাজতে নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। অস্ত্র-আইনকে হাতিয়ার করে।
গিরিশ পার্ক-কাণ্ডে সাব ইন্সপেক্টরকে গুলি করায় অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারি ফেরার এক মাস ধরে। গোয়েন্দারা এখন তার মোবাইল ‘ট্র্যাক’ করেও খেই পাচ্ছেন না। এ বার দিলীপের মাধ্যমে তাকে জালে ফেলার চেষ্টা চলছে। দু’জনের যোগাযোগ কোন সূত্রে?
লালবাজারের দাবি, অবৈধ অস্ত্রের কারবারের সূত্রেই লেকটাউনের হাতকাটা দিলীপ ওরফে দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বড়বাজারের ‘ডন’ গোপালের একদা মাখামাখি ছিল। ক’দিন আগে গোপালের পাথুরিয়াঘাটার বাড়িতে বিস্তর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক মিলেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, তলায় তলায় দু’জনের যোগাযোগ এখনও বজায় থাকলেও থাকতে পারে। সেই সম্ভাবনাটি খতিয়ে দেখতেই দিলীপকে হেফাজতে নেওয়ার উদ্যোগ।
খুন-ছিনতাইয়ের পুরনো এক মামলায় গত বুধবার লেকটাউনে দিলীপকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। চার দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার তাকে বিধাননগর মহকুমা আদালত তোলা হলে বিচারক জামিনও দিয়ে দিয়েছিলেন। তবু দিলীপ জেল থেকে ছাড়া পায়নি, কারণ অস্ত্র-আইনের একটি মামলায় তাকে হেফাজতে চেয়ে এ দিনই কলকাতা পুলিশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করেছে, এবং তা মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছে। ফলে দু’-এক দিনের মধ্যে দিলীপকে লালবাজার হেফাজতে পাবে বলে আইনজীবী-সূত্রের খবর।
তবে ফেরার হলেও গোপাল যে কলকাতায় তোলাবাজি দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে, লালবাজার তা টের পেয়েছে। গত সপ্তাহে জোড়াবাগানে ধরা পড়ে তার ঘনিষ্ঠ শাগরেদ দিলীপ সোনকার। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, উত্তর ভারতের একটি শহরে বসে গোপাল গত মাসখানেক যাবৎ মধ্য কলকাতার বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করেছে। তার শাগরেদরা গিয়ে টাকা নিয়ে এসেছে। কিছু টাকা গোপালের পরিবারের হাতে দিয়ে বাকিটা তারা হাওয়ালা মারফত পাঠিয়ে দিয়েছে ‘গুরু’কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy