নারদ-কাণ্ডে তলব এড়িয়েছিলেন। কিন্তু এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হুমকি-ফোনের মামলায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের সামনে হাজির হবেন ম্যাথু স্যামুয়েল। পুলিশের নোটিস অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার মুচিপাড়া থানায় হাজির হওয়ার কথা নারদ কর্তা ম্যাথুর।
শনিবার দিল্লি থেকে ফোনে ম্যাথু বলেন, ‘‘আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ২২ ফেব্রুয়ারি থানায় হাজিরা দেব।’’ এর আগে নারদ-কাণ্ডে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর দায়ের করা একটি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চার বার ডেকে পাঠায় ম্যাথুকে। কিন্তু হাজিরা দেননি। উল্টে আইনজীবী মারফত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে বিহারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিপি যাদবের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে কলকাতা থেকে হুমকি ফোন গিয়েছিল। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ম্যাথুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কারণ, হুমকি ফোনের প্রাথমিক তদন্তে ম্যাথু স্যামুয়েলের নাম উঠে এসেছে। ম্যাথুকে মুচিপাড়া থানায় হাজিরার নোটিস ধরাতে শুক্রবার দিল্লিতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিল কলকাতা পুলিশের লোকজন। সূত্রের খবর, বিহারের ওই মন্ত্রীর কাছে হুমকি ফোন যাওয়ার কয়েক দিন আগে কলকাতা পুলিশ একটি ছবি প্রকাশ করে। পুলিশের দাবি, ওই ছবির সঙ্গে ম্যাথুর মিল রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই ছবি দেখানোও হয়। সে দিন অবশ্য পুলিশ খোলসা করে বলেনি, ছবিটি কার। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ম্যাথুর দিল্লির বাড়িতে ও অফিসে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। ম্যাথু শনিবার অভিযোগ করেন, ওই দলের অফিসারেরা তাঁর বাড়ি থেকে সাতটি ল্যাপটপ, দু’টি ডেস্কটপ এবং একটি আই ফোন বাজেয়াপ্ত করে। ম্যাথুর দাবি, কী কারণে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হল, তার কারণ তাঁকে জানানো হয়নি।
তবে এ দিন ম্যাথু অভিযোগ করেন, নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কী রায় দেবে, তা নিয়ে অজানা শঙ্কা থেকেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে পুলিশ। ম্যাথুর আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ যদি মিথ্যা মামলায় ম্যাথুকে ফাঁসাতে চায়, তা হলে নিজেরাই বিপদে পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy