সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর কাশীপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে। চন্দনেশ্বর থেকে ধরা পড়েছেন এক জন। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ভাঙড়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোট পাঁচটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় সোমবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকে দেয়। এর পরেই ক্ষোভ এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর থেকেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাতে কলকাতা পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে কোনও রকম গুজবে কান না-দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, মিথ্যা তথ্য ছড়ালে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
নয়া ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। প্রতিবাদ-মিছিল হয়েছে কলকাতায়। সোমবারও কলকাতার রামলীলা ময়দানে প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে। আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁরা সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানে ভাঙড়, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালির আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তা অবরোধ করেন আইএসএফ কর্মীরা। তা নিয়েই সোমবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের শোনপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের অন্তত পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইট মেরে ভাঙা হয়েছে কলকাতা পুলিশের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশের প্রিজ়ন ভ্যানেও। ভাঙচুরের পর সেটি রাস্তায় উল্টে দেওয়া হয়েছে।