জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার প্রেক্ষিতে উধমপুরে ভারতীয় সেনা এবং জঙ্গির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের। ৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ঝন্টুর বাড়ি এ রাজ্যের নদিয়ার তেহট্টের পাথরঘাটায়। শনিবার গ্রামের বাড়িতে ঝন্টুর কফিনবন্দি দেহ আসবে। তার আগে শহিদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝন্টুর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার ঝন্টুর দাদা নাজিম শেখকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহিদের পরিবারের পাশে আছেন তিনি। নাজিমের কথায়, ‘‘যে কোনও প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি ফোন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ঝন্টুর পরিবারের কথা হয়েছে বলে খবর।
ঝন্টুর দাদা নাজিম এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। অনিন্দিতা আবার কাশ্মীরে কর্মরত। বস্তুত, তাঁর মাধ্যমেই গ্রামের বাড়িতে বসে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান বৃদ্ধ বাবা-মা।
ঝন্টু বিবাহিত। স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা থাকেন আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে সেখান থেকে তাঁরা দিল্লি যান। তাঁরা ফিরে এসেছেন গ্রামের বাড়িতে। শুক্রবার মৃত সৈনিকের দাদা নাজিম বলেন, ‘‘মমতাদিদি আমাকে ফোন করেছিলেন। সব রকম ভাবে পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোনও প্রয়োজনে সরাসরি দিদিকে ফোন করতে বলেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দিদি বলেছেন আমাদের আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের ভাইকে শহিদের পূর্ণ মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।’’’
শুক্রবার ঝন্টুর স্ত্রী-সহ পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তারা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। বিকেলে নিহত জওয়ানের বাড়িতে যান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এ ছাড়াও নিহত সেনা জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট ৬ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের হাবিলদার ঝন্টু উধমপুরের বসন্তগড় এলাকায় এনকাউন্টারে অংশ নিয়েছিলেন। সেনা-জঙ্গির গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার জম্মুতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে তাঁকে বিদায় জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। তেহট্ট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার জানিয়েছিলেন, সেনার তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, শনিবার সকালে ঝন্টুর দেহ আনা হবে বাড়িতে। তাঁকে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হবে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর দেহ এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে গাড়িতে করে দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তেহট্টের বাড়িতে।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘ওই জঘন্য গোষ্ঠীকে দেশ থেকে সরান’, পাক প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ আমেরিকার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা
-
কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ঘরে ফেরেন জ্যৈষ্ঠের অষ্টমীতে, ক্ষীর ভবানীর পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা
-
‘সিঁদুর’ অভিযানের পর কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ অবশেষে প্রত্যাহার! নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার
-
বিষয় ‘অপারেশন সিঁদুর’! প্রবন্ধ লিখে মিলবে আর্থিক পুরস্কার, সঙ্গে লালকেল্লায় যাওয়ার সুযোগও