দার্জিলিঙে চলছে বিধানসভা উপনির্বাচন। রবিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
সকাল থেকেই ম্যালে থিক থিক করছে পর্যটক। বাতাসিয়া লুপ হোক বা টাইগার হিল- পর্যটকদের গাড়ির লম্বা লাইন সর্বত্র। দেখা গিয়েছে মেঘের আড়াল থেকে উঁকি মারা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ক্যামেরা বন্দি করার চেনা ছবিও। এসব দেখে দার্জিলিঙে যে ভোট চলছে তা কোনওভাবে বোঝার উপায় ছিল না। কিছুদিন আগে লোকসভা ভোটের দিনও পাহাড়ে পর্যটক ছিল, কিন্তু দোকানপাট প্রায় সবই সেদিন বন্ধ ছিল। রবিবার কিন্তু ছবিটা আলাদা। বহু দোকান খোলা তো ছিলই, গাড়িও চলেছে স্বাভাবিক ছন্দে। সকালে পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জিএনএলএফ ও বিনয়পন্থী মোর্চার সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ছাড়া শান্তিতেই মিটেছে দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচন। যা দেখে পুরুলিয়া থেকে আসা পর্যটক সুমন্ত সাঁতরার বক্তব্য, ‘‘এমন ভোট কেন অন্যত্র হয় না।’’
বিনয়ের ঘাঁটি লালকুঠি থেকে বিমলের গড় পাতলেবাস সর্বত্রই ভোটারদের মুখে ছিল এক কথা, ‘শান্তি চাই’। পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের বাড়ির ঠিক নীচের কমিউনিটি হলে ২৩/৯৫ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ চলছিল। ওই বুথেরই ভোটার বিমল। তাঁর প্রতিবেশী জিয়ন গুরুংয়ের কথা, ‘‘এখন শান্তিতে আছি। যেই জিতুক বা হারুক শান্তি যেন বজায় থাকে।’’ লালকুঠি টার্নবুল হাইস্কুলের বুথে ভোট দিয়ে সীমা লামা বললেন, ‘‘পাহাড় ফের যেন রক্তাক্ত না হয়। তার দায়িত্ব বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং দুই পক্ষকেই নিতে হবে।’’ পাহাড়ে ভোটের কাজে আসা উত্তরাখণ্ডের এক জওয়ান বলেন, ‘‘আসার আগে গন্ডগোল নিয়ে আমাদের অনেক কথাই বলা হয়েছিল। যা শুনেছিলাম দার্জিলিংয়ের মানুষ একেবারেই তার উল্টো।’’ দার্জিলিং শহর ছাড়াও সুকিয়াপোখরি, সীমানা বাজার, লেপচাজগৎ, বিজনবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট হয়েছে উৎসবের মেজাজেই। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিন টয় ট্রেনের পরিষেবাও স্বাভাবিক ছিল।
এ দিন অবশ্য বিজেপি প্রার্থী নীরজ জিম্বার বিরুদ্ধে প্রচারের সময়সীমা শেষ হলেও ফেসবুকে ভোট প্রচারের অভিযোগ তুলেছেন নির্দল প্রার্থী স্বরাজ থাপা। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নীরজ। তাঁর দাবি, পাহাড়ের পথে দিনরাত প্রচার করে তাঁর ১১ কেজি ওজন কমেছে। তাই সোশ্যাল সাইটে প্রচারের প্রয়োজন নেই তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy