কলকাতায় এসে যা বলেছিলেন, রাজ্যের চিঠির জবাবে স্কুল স্তরে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর ব্যাপারে আবার সে-কথাই জানিয়ে দিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তরে তিনি লিখেছেন, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। তবে পার্থবাবু মনে করেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন।
কেন্দ্র যে পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার পক্ষে, জাভড়েকর বারবার তা জানিয়েছেন। জবাবি চিঠিতেও সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর, শিক্ষার অধিকার আইনের সংশোধনীটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ইতিমধ্যে পাশ হয়ে গিয়েছে। গত ১১ অগস্ট লোকসভার বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সেটি পেশও করা হয়েছে। তবে সেখানে সংশোধনীটি পাশ হয়নি।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু এর আগে বিষয়টি নিয়ে বারবার চিঠি লিখেছেন জাভড়েকরকে। জুলাইয়ে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা বলেন। তিনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে যারা ফেল করবে, দু’মাস পরে আরও এক বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে তাদের। তাতেও যদি কোনও পড়ুয়া পাশ করতে না-পারে, সে-ক্ষেত্রে তাকে সেই ক্লাসেই রেখে দেওয়া হবে। এই
বিষয়ে আইন সংশোধিত হলে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে বিষয়টি চালু করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা এখন নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ২০১৫ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পরেই নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনাই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষার বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত বলে সব রাজ্যের মত জানতে চায় কেন্দ্র। এ বিষয়ে ২৫টি রাজ্য ইতিমধ্যেই পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত দিয়েছে।
জুলাইয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া ছিল, আইসিএসই বোর্ড পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা চালু করেছে। আগে আইন পাশ হোক। কেন্দ্র বিষয়টি জানাক। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর জেরে যাতে স্কুলছুটের সংখ্যা না-বাড়ে, নজর রাখতে হবে সে-দিকেও।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পরে পার্থবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘কেন্দ্র বললেই তো হবে না। শিক্ষা ষুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো। যা হবে, তা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy