স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনে জেতার পরে এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে সাগরদিঘির জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের জল্পনা নিয়ে তরজা বেধে গেল! স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে দল ভাঙানোর চেষ্টায় ইন্ধন রয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। স্পিকার অবশ্য বিরোধীদের এই বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বারুইপুরে গিয়ে স্পিকার বিমানবাবু রবিবার বলেছিলেন, ‘‘বাইরন আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। উনি তো নিজেই বলেছেন, তিনি তৃণমূলের লোক। তৃণমূলের ভোটেই তিনি জিতেছেন। আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে হয়তো ভুল হয়ে থাকতে পারে।’’ এর পরে ‘তৃণমূলের লোক’ বাইরনকে দলে নিতে কি তৃণমূল চেষ্টা করবে? বিমানবাবুর বক্তব্য ছিল, ‘‘সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আমি এই নিয়ে কিছু বলব না।’’ বিরোধীদের দাবি, তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে পরোক্ষ ভাবে স্পিকার ‘দল ভাঙানো’র সম্ভাবনাই উস্কে দিয়েছেন। দিল্লিতে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বিধানসভার স্পিকার যেন বেশি করে তৃণমূলের স্পিকার! বাইরন যাতে দ্রুত শপথ নিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা স্পিকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাজভবনকে সরকার চিঠি দিয়েছে শুনে আমি বাইরনকে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন। সেই ব্যাপারে খোঁজ বা ব্যবস্থা না নিয়ে স্পিকারের এখন মনে হল, বাইরন তৃণমূলে যেতে পারে!’’ সাগরদিঘিতে তৃণমূল ও বিজেপির ভোট কমেছে এবং বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর ভোট বেড়েছে, অর্থাৎ সকলের ভোটই তাঁরা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন অধীরবাবু।
একই ভাবে মালদহে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘স্পিকার নাকি উকিল ছিলেন। তিনি দলত্যাগ-বিরোধী আইন কার্যকর না করে শাসকের তাঁবেদারি করছেন! স্পিকার শুধু ব্যক্তি নন, তাঁর একটা পদমর্যাদা আছে।’’ বাইরন সংক্রান্ত মন্তব্য স্পিকারের মর্যাদার সঙ্গে মানানসই কি না, টুইটে ভিডিয়ো ক্লিপ দিয়ে সে দিকে ইঙ্গিত করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘হাস্যকর অভিযোগ! এর জবাব দেব না। আমি তো টিভিতেই দেখলাম, নবনির্বাচিত বিধায়ক বলছেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলের লোক। আমার আর এ সম্পর্কে কিছু বলার থাকতে পারে?’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কেরা এ দিন স্পিকারের কাছে গিয়ে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে জমা থাকা অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করেছেন। কাজ না হলে স্পিকারের ঘরের সামনে ধর্না দেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা। স্পিকার পরে বলেন, ‘‘এখানে ধর্না দিয়ে কী হবে? আইন বদল করে সময়সীমা বেঁধে দিতে ওঁরা দিল্লিতে দরবার করুন। আদালত থেকে এই রকম একটা আদেশ নিয়ে আসুন। একই ভাবে রাজ্যপালের কাছে আটকে থাকা বিলের অনুমোদনের জন্য তাঁদেরও তদ্বির করতে বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy