Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

গণতন্ত্রের ‘শোক’ কই, প্রশ্ন বিরোধীদের

অধিবেশন মুলতবির পরে সুজনবাবু এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানরা জানান, নিহতেরা যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, তাঁরা নির্বাচন ঘিরে হিংসার শিকার। এই হিংসারই প্রতিবাদ জানাতে চায় বিরোধীরা।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৭
Share: Save:

বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে প্রথামাফিক এসেছিল শোকপ্রস্তাব। সেখানেই সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে নিহত বিভিন্ন দলের ৪৬ জন কর্মী-সমর্থকের নাম দিয়ে ‘গণতন্ত্রের শোকপ্রস্তাব’ পাঠের দাবি তুলল বিরোধী কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট! তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন থেকে গণনা পর্বে রাজ্যে গণতন্ত্রেরই ‘অকাল মৃত্যু’ ঘটেছে।

বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার। গোড়ায় শোকপ্রস্তাব পাঠের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভায় ছিলেন না বলে ক্ষুব্ধ বিরোধী নেতৃত্ব। সরকারি প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরে বাম এবং কংগ্রেস বেঞ্চ থেকে বিধায়কেরা দাবি তোলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে যাঁরা হিংসার বলি হয়েছেন, তাঁদের নামেও শোকপ্রস্তাব আনতে হবে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী নিয়ে গিয়েছিলেন ৪৬ জনের তালিকা। তাঁদের মধ্যে নিহত তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরাও আছেন। অধিবেশন মুলতবির পরে সুজনবাবু এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানরা জানান, নিহতেরা যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, তাঁরা নির্বাচন ঘিরে হিংসার শিকার। এই হিংসারই প্রতিবাদ জানাতে চায় বিরোধীরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পরে অবশ্য বলেন, ‘‘ওটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই রকম ঘটনা শোকপ্রস্তাবে আসার কারণ নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE