মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাস এবং ইন্ডাস্ট্রির অনুষ্ঠানে ওমপ্রকাশ রাওয়ত। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
ইভিএমেই ‘আস্থা’ রাখছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। শনিবার শহরে এক আলোচনাসভায় সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়ত। আর পশ্চিমবঙ্গে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আগের যে কোনও ভোটের ঘটনাবলি থেকে তাঁরা ‘শিক্ষা’ নেন। সে ক্ষেত্রে মহেশতলা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে রাওয়তের মন্তব্য, ‘‘আপনারা দেখছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা কেমন সুষ্ঠু ভাবে বজায় ছিল।’’
এ দিন ‘মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাস এবং ইন্ডাস্ট্রি’র আয়োজিত এক আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন কমিশনার রাওয়ত। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘একটা সাংবিধানিক সংস্থা হয়ে আর একটি সংস্থার বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’’ পঞ্চায়েত ভোটের ঘটনার প্রতি যে তাঁদের নজর ছিল, তা অবশ্য এ দিন বুঝিয়েছেন রাওয়ত। তাঁর কথায়, ‘‘আগের নির্বাচনের ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোনো হয়। মহেশতলা উপনির্বাচনে হয়তো আপনারা দেখেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন সুষ্ঠু ছিল।’’
পরে বিকেলে রাজারহাটের একটি হোটেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার রাওয়ত। সেখানে দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরাও ছিলেন। বৈঠক শেষে বেরোনোর সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাওয়ত বলেন, ‘‘মহেশতলার ভোট দেখেছেন। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটা নিশ্চিত। চিন্তা করবেন না।’’ সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে, এখন থেকেই পরবর্তী ভোটের জন্য পদক্ষেপ শুরু করতে বার্তা দিয়েছেন কমিশনার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের হাতে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায় পঞ্চায়েত ভোটে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি বলে বিভিন্ন মহলে চর্চা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জবাব এড়িয়ে রাওয়ত বলেছেন, ‘‘এটা বিতর্কের বিষয়।’’
ইভিএম নিয়ে নানা অভিযোগ করছে বিরোধী দলগুলি। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাওয়তের কটাক্ষ, ‘‘হেরে গেলে কাউকে নিশানা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলির উচিত কমিশনকে দোষারোপ না করে আত্মসমীক্ষা করা। হতাশাজনক মন্তব্য। এ নিয়ে কিছু বলব না। গেট ওয়েল সুন।’’ ইভিএম নিয়ে ‘সন্দেহ’ তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও তাঁর মত। ইভিএম যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের কখনও কখনও মনোসংযোগে ঘাটতি হয়। ফলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে কার্যত মেনে নিয়েছেন কমিশনার।
বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনার রাওয়তের বক্তব্য, ‘‘আমরা আইন মেনে লোকসভা বা বিধানসভার মেয়াদ শেষের ছ’মাস আগে ভোট করাতে পারি। তার আগে নয়।’’ বিধানসভা এবং লোকসভা একইসঙ্গে করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি ফের আইন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আলোচনাও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy