যাকে রাখো, শেষ পর্যন্ত সে-ই যে কী ভাবে রাখে, রবিবার তার প্রমাণ দিল বাগডোগরা বিমানবন্দর। ওখানে রাতে বিমান ওঠানামার যাবতীয় ব্যবস্থা থাকলেও কোনও বিমান সংস্থাই তার সুবিধা নেয় না। এ দিন কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই ব্যবস্থাই কাজে লেগে গেল। তিনটি বিমান ওই সুবিধার সুযোগ নিয়েই বাগডোগরায় নামে।
বাগডোগরায় রাতে উড়ানের বন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও কোনও বিমান সংস্থা তার সদ্ব্যবহার না-করায় রাজ্য সরকারের একটা ক্ষোভ রয়েছে। তাই নতুন কোনও বিমান সংস্থা বাগডোগরা থেকে উড়ান চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তাকে রাতেও ওঠানামা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখনও কোনও সংস্থার বিমানই বাগডোগরায় রাতে নিয়মিত ওঠানামা করে না।
তবে ওই বন্দোবস্ত কতটা কদরের যোগ্য, রবিবার তা প্রমাণিত হয়ে গেল। এ দিন দুপুরের দিকে আচমকা কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বাগডোগরার আকাশ। এয়ার ইন্ডিয়া এবং গো এয়ারের বিমান দিল্লি থেকে এসে ওখানে নামতে না-পেরে যথাক্রমে কলকাতা এবং গুয়াহাটি চলে যেতে বাধ্য হয়। বিকেলের দিকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। আর রাতের ওঠানামার সুবিধা নিয়েই সেই বিমান দু’টি বাগডোগরায় ফিরে আসে।
দুপুরে কলকাতায় স্পাইসজেটের দু’টি বিমান বিপাকে পড়ে। বাগডোগরা রওনা হওয়ার মুখে দুপুরের বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। সন্ধ্যায় অন্য বিমানে যাত্রীদের পাঠানো হয়। সেটিও বাগডোগরায় নামে রাতেই। ওই সংস্থার হায়দরাবাদ উড়ানটিও যাত্রীদের নিয়ে ফিরে আসে রানওয়ে থেকে। তাতেও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy