Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ফুটপাথ নিয়ে হয়নি সমীক্ষা, অভিযানও

ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের সঠিক সংখ্যা পুরসভা-প্রশাসনের কাছেও স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে কখনও সমীক্ষাও হয়নি। তা হলে পুনর্বাসনের রূপরেখা তৈরি হবে কী করে? সে জন্য প্রতিবারই ফুটপাথ দখল মুক্ত করার অভিযান শুরুর তোড়জোড় হলেও বাস্তবে কাজের কাজ হয় না।

ফুটপাথের উপরে জিনিসপত্র, যত্রতত্র রাখা হয়েছে সাইকেল, মোটরবাইকও। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

ফুটপাথের উপরে জিনিসপত্র, যত্রতত্র রাখা হয়েছে সাইকেল, মোটরবাইকও। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

অভিজিত্‌ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৪
Share: Save:

ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের সঠিক সংখ্যা পুরসভা-প্রশাসনের কাছেও স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে কখনও সমীক্ষাও হয়নি। তা হলে পুনর্বাসনের রূপরেখা তৈরি হবে কী করে? সে জন্য প্রতিবারই ফুটপাথ দখল মুক্ত করার অভিযান শুরুর তোড়জোড় হলেও বাস্তবে কাজের কাজ হয় না।

শহরের প্রবীণ নাগরিক কমল বসাক বললেন, “আজ থেকে তিরিশ বছর আগে শহরে ফুটপাথ বলে কিছু ছিল না। তবে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় তেমন অসুবিধে হতো না।” পুরসভার সূত্রের দাবি, ১৯৯০ সালের গোড়ায় ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফুটপাথ তৈরি করান। সেই সময় সামান্য কয়েকটি বাস চলাচল করত। বর্তমানে বাসের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেড়েছে অন্য যানবাহনও। শহরে অতিরিক্ত রিকশা, অটো সহ আরও অনেক ছোট গাড়ি চলে। এই যানবাহনগুলি পার্ক করানো হয় রাস্তার উপরেই। রথবাড়ি থেকে রাজমহল রোড হয়ে ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে ফুটপাত থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারেন না পথ চলতি বাসিন্দারা। বহু ব্যবসায়ী ফুটপাতের উপরেই জিনিস কেনা বেচা করছেন।

সমস্যা হচ্ছে বাস ও ছোট গাড়ির চালকদেরও। মালদহ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিমাই সরকার বলেন, “অতুল মার্কেট থেকে রথবাড়ি পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যেতে খুবই সমস্যা হয়। রাস্তার উপরেই সারি সারি দোকান হয়েছে। মানুষ রাস্তার উপর দাঁড়িয়েই জিনিস কিনছেন। প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।”

ইংরেজবাজার শহরের এক স্কুল শিক্ষক মৃণাল চৌধুরী জানান, শহরের মধ্যে ৫০টির মতো স্কুল রয়েছে। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শহরের মধ্যে থাকা ব্যস্ততম রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফুটপাথ দখল হয়ে থাকায় তাদের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। রাস্তার ধার ঘেঁষে আবার গাড়ি পার্ক করা থাকে। হেঁটেই চলায় দায়। িতিন বলেন, “তাই পুরসভা ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, ফুটপাথ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।” শুধু তা-ই নয়, মালদহের নাগরিক সমাজও ক্ষোভে ফুঁসছেন।

(চলবে)

অন্য বিষয়গুলি:

amar shohor abhijit saha malda no footpath
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE