Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ছ’দিনের জন্য ভাড়ার বাতি

দু’দশকের মধ্যে কখনও জায়গা বদল হয়নি তার। বছর দু’য়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়েও কোচবিহার সার্কিট হাউসে দিব্যি বাহারি আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল সে। তবে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্যই জায়গা বদল করা হয়েছে সার্কিট হাউসের ডাইনিং হলের ঝাড়বাতিটির। ঝোলানো হয়েছে ভাড়া করা একটি ঝাড়বাতি। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষের পরে ফের পুরনো ঝাড়টিকেই সাফ সুতরো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে কোচবিহার সার্কিট হাউসের সিলিঙে, এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সূত্রে।

(বাঁ দিকে) পুরনো ও (ডান দিকে) নতুন ঝাড়বাতি। নিজস্ব চিত্র।

(বাঁ দিকে) পুরনো ও (ডান দিকে) নতুন ঝাড়বাতি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪১
Share: Save:

দু’দশকের মধ্যে কখনও জায়গা বদল হয়নি তার। বছর দু’য়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়েও কোচবিহার সার্কিট হাউসে দিব্যি বাহারি আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল সে।

তবে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্যই জায়গা বদল করা হয়েছে সার্কিট হাউসের ডাইনিং হলের ঝাড়বাতিটির। ঝোলানো হয়েছে ভাড়া করা একটি ঝাড়বাতি। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষের পরে ফের পুরনো ঝাড়টিকেই সাফ সুতরো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে কোচবিহার সার্কিট হাউসের সিলিঙে, এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সূত্রে। আরও জানা গিয়েছে, ছ’দিনের জন্য ভাড়া করে আনা হয়েছে ঝাড়বাতিটি। আগামী বৃহস্পতিবার সরকারি সভা করতে জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, পুরনোটির মত একটি ঝাড়বাতি কলকাতা থেকে এনে সেখানে ঝোলানো হবে। খুব অল্প সময় হাতে রয়েছে। তাই ঝাড়বাতি কেনা যায়নি। ভাড়া করে এনে কাজ চালাতে হচ্ছে। তবে কত টাকায় সেটি ভাড়া করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কোনও কর্তাই। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, আধিকারিকদের নির্দেশ মতো এক ঠিকাদার নতুন ঝাড়বাতিটি সরবরাহ করেছেন। সোমবার রাতে সেটি ঝোলানো হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চলে গেলে কী হবে? সার্কিট হাউসের এক কর্মী কৌতুক করে বলেন, “আবার হয়তো পুরনোটাই ঝুলবে।”

সরকারি সূত্রের খবর, শুধু ঝাড়বাতি নয়, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক অবশ্য বলেন, “আসলে সার্কিট হাউস সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যা প্রয়োজন তা বসানো হচ্ছে।”

আগামী ৪ ডিসেম্বর দিনহাটার নয়ারহাটে সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কোচবিহার সার্কিট হাউসে থাকতে পারেন তিনি।

বহু বছরের পুরনো সার্কিট হাউসে সংস্কারের কিছু কাজ মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে এ বারে বদলে ফেলা হয়েছে খোলনলচে। নতুন করে রং করা হয়েছে সর্বত্র। বসানো হয়েছে সিসিটিভি। বসানো হয়েছে ৪৬ ইঞ্চির এলইডি টিভি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট ঘরের বাইরেও আরও চারটি ঘরে নতুন টিভি বসানো হয়েছে। পুরনো পাখা পাল্টে ঝোলানো হয়েছে কুড়িটি নতুন পাখা। সব ঘরে পুরনো এসি মেশিন খুলে নতুন মেশিন বসানো হয়েছে। গিজার, রুম হিটার বসানোর কাজ চলছে।

পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই পুরনো ঝাড়বাতিটির কয়েকটা জায়গা ভেঙে গিয়েছে। ওই ধরণের ঝাড়বাতি এখন আর দেখা যায় না। তাই কলকাতা থেকে সেই রকম ঝাড়বাতি এনে স্থায়ীভাবে বসানোর চিন্তা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE