চা পর্যটনের প্রসারে চা বাগানগুলিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়তে উৎসাহ দেবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার শিলিগুড়িতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ় (সিআইআই)-এর একটি আলোচনা সভায় এ কথা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই অ-কৃষি জমির চরিত্র সহজে পরিবর্তন করতে নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ করেছে রাজ্য সরকার বলে জানালেন তিনি। এদিন চা শিল্পপতিদের কাছে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী। রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করে দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না বলেও মন্ত্রী এদিন আক্ষেপ করেন। এদিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সিআইআই উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান প্রবীর শীল, মৎস্য দফতরের প্রধান সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের প্রধান সচিব রাজীব সিংহ, সিআইআইয়ের সহ-সভাপতি নরেশ অগ্রবাল প্রমুখ।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “যে কোনও চা বাগান চাইলে তাঁদের অ-কৃষি জমির মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে পারে। তার জন্য সরকারি হারে মূল্যও দিতে হবে। তার বদলে জমিটির বাণিজ্যিকীকরণ করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনকে উৎসাহ দিতে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
এ দিন উত্তরবঙ্গে শিল্প নেই বলেও আক্ষেপ করেন গৌতমবাবু। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িকে যমজ শহর হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর দ্রুত গতিতে কাজ করছে। আনুষঙ্গিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হলে শিল্পদ্যোগীরাও আরও বেশি করে উদ্যোগী হবে বলে মন্ত্রী জানান। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে পাট শিল্পকেন্দ্র স্থাপনের প্রয়াসও নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। সম্ভাবনা রয়েছে শীতলখুচিতে তামাক প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেরও। সেই সঙ্গে দ্রুত চালু করা হবে ইতিমধ্যেই তৈরি হওয়া ড্রাই পোর্ট, টি পার্কও। সেই সঙ্গে গত মরশুমে শিল্প স্থাপণের জন্য ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রধান সচিব রাজীব সিংহ। সেই বরাদ্দের হিসেব নিতেও মন্ত্রী গৌতমবাবু শিল্প সচিবকে বলেছেন। উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলার শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy