এক বছর বন্ধ থাকার পর নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ফের নতুন করে রাতের বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই বাগডোগরা থেকে রাতের বিমান চালু করবে একটি বেসরকারি সংস্থা।
গত সপ্তাহেই ওই সংস্থার দুই পদস্থ অফিসার বাগডোগরা আসেন। তাঁরা বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন। আপাতত ঠিক রয়েছে বাগডোগরা থেকে গুয়াহাটি, দিল্লি রুটে বিমান চালাবে সংস্থাটি। রাকেশ বলেন, “এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য খুবই ভাল খবর। গত সপ্তাহেই বাগডোগরায় ওই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। পরিকাঠামো-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানুয়ারি থেকেই ওঁদের বিমান পরিষেবা চালুর কথা। সন্ধ্যার পরই ওই সংস্থার বিমানগুলি চলাচল করবে।”
বিমান বন্দর সূত্রের খবর, দীর্ঘ কয়েক দশকের পর গত বছর ১ অক্টোবর বাগডোগরা থেকে রাতের বিমান পরিষেবা চালু হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব থেকে শুরু করে পর্যটন দফতর, প্রশাসনের অফিসারেরা প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন। ওই বিমান সংস্থার তরফে এক মাসের জন্য রাতের বিমান ওঠানামা’র পর যাত্রী অপ্রতুলতার কথা বলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরে নির্দিষ্টভাবে সন্ধ্যার পরে বাগডোগরা থেকে উড়ান নেই। এই বিমান সংস্থাটি ১৫ জানুয়ারির পর থেকে চলাচল করবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, দিল্লি থেকে গুয়াহাটি হয়ে বিমানটি সাড়ে ৫টা নাগাদ বাগডোগরায় এসে পৌঁছবে। এর পরে ছ’টার পর সেটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবে। এর আগে কলকাতা থেকে বাগডোগরা থেকে বিমানটি আসত সন্ধ্যায় ৭টায়। বাগডোগরা থেকে কলকাতায় যেত সাড়ে ৭টায়। একই গোষ্ঠীর আরেকটি বিমান দিল্লি থেকে বাগডোগরা আসত ৬টা নাগাদ। পরে সেটি সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা যেত। নতুন রাতের বিমানটি আপাতত একটি বিমান চালু করলেও যাত্রী সংখ্যা দেখে পরবর্তীতে তারা বিমানের সংখ্যা বাড়াতে পারে বলে এএআই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে।
ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকদিন না চালিয়ে টানা রাতে বিমান চালানে যাত্রী সাড়া ভালই মিলবে। নতুন বছরের ওই বিমান চালু হলে এই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাতের বিমান ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিমানবন্দরের ঢোকার মুখে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স বা ট্রানজিট কমপ্লেক্স তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সেখানে হোটেলের মত ঘর, রেঁস্তোরা, কনফারেন্স রুম, অফিস করার জায়গার ব্যবস্থাও থাকছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে নতুন এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ফুড প্লাজা, বুকশপ, স্ন্যাক বারের কাজও শুরু হয়েছে। নতুন করে সাজা হচ্ছে টার্মিনাল ভবনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy