ধসে চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু দার্জিলিঙে। বৃহস্পতিবার মংপু কুলেন কারখানা এলাকায় মৃত্যু হয় সিঙ্কোনা বাগানের এক শ্রমিকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রকাশ থাপা। তিনি চালিশধুরার বাসিন্দা। মংপু সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মংপু থানার পুলিশ। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, ‘‘সকালে কারখানার কাছে আচমকা ধস নামে। ধসের জেরে একটি গাছ প্রকাশ থাপার উপর পড়ে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই সিঙ্কোনা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রাজ্যের তরফে নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’’

টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত পাহাড়। এর আগে ধসে মৃত্যু হয়েছিল বিজনবাড়ির এক বাসিন্দার। সম্প্রতি মিরিকেও ধসের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও রোহিনী, মহানদী, কার্শিয়াঙের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৪০টি বাড়ির। ধসের পর মেরামতি ও সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। বরাদ্দও করা হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

বিপর্যস্ত দার্জিলিঙে বন্ধ একাধিক রাস্তা। আংশিক ভাবে ধসে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। এক নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে থাকলে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আদৌ কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে, তা নির্ধারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।