আমি শিলিগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমার ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট যথেষ্ট উন্নত ও পরিমার্জিত। কিন্তু তা দেখে গোটা শহরের রাস্তাঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচন করা যায় না। আমরা যারা হিলকার্ট রোড বা সেবক রোড বা শহরের প্রাণকেন্দ্র যাকে বলা হয় সেই সমস্ত এলাকায় থাকি তাদের খুব একটা রাস্তাঘাট নিয়ে সমস্যা নেই। বরং ভালই বলা চলে। প্রতিটি রাস্তার পাশেই খানিকটা স্পেস থাকে, সেখানে অনায়াসেই বড় থেকে ছোট গাড়ি রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে হাঁটাচলা বা অন্য যানবাহন চলাচলের অসুবিধে হয় না।
আগের থেকে ওয়ার্ড অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। অকারণে রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকে না। ওয়ার্ডের বেশির ভাগ রাস্তাই পরিচ্ছন্ন।
পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মেরামতির কারণে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ থাকলে তা আগে থেকে নিয়ম করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সঠিক সময়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। কাজেই বর্ষাকালে জল জমার কোনও প্রশ্ন নেই। অন্তত ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে জল জমে না। তবে শহরের বহু অংশে জল জমে বর্ষাকালে। জমা জলে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
শহর শিলিগুড়িতে এই মুহূর্তে আলোর কোনও সমস্যা নেই। একটা সময় ছিল শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাতের বেলা মহিলারা হাঁটাচলা করতে ভয় পেতেন। শুধু ওয়ার্ড কেন বর্ধমান রোডের বেশ কিছু জায়গায় রাতে মহিলাদের একাকী বাইরে বার হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হত। তবে এখন আর আলো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। শুধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডই নয় গোটা শহর জুড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত আলো।
শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে আজও জমা জলে মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যায়। তার কারণ, সঠিক নিকাশি ব্যাবস্থা। শহরের সব থেকে বড় অসুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত বাম্প। অলিতে গলিতে ম্যাসট্রিক রোড নির্মাণ ও তাতে পাথরের ব্যাবহারে হোঁচট খাওয়ার উপক্রম হয়। অফিস টাইম থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের রাজপথে গাড়ি নিয়ে বার হওয়া দায়। বড় সমস্যা পার্কিং। যার আজও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy