প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার রেল বাজেটে উত্তরবঙ্গ কি আদৌ কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে?
কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার দিন এই প্রশ্ন ঝুলে রইল শনিবার রাত পর্যন্ত। কারণ কেন্দ্রীয় ভাবে রেলের জন্য বরাদ্দের একটি হিসেব এলেও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হল, সেই হিসাব এখনও পর্যন্ত আসেনি বলে রেল সূত্রের দাবি। তবে কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে রেলের বরাদ্দ হিসাব কষে রেল আধিকারিকদের দাবি, যাত্রী নিরাপত্তা থেকে যাত্রী সাচ্ছন্দ্য, নতুন ট্রেন চালু, স্টেশনের উন্নয়ন এবং ‘কবচ’ সুরক্ষা ব্যবস্থায় আগের মতোই বরাদ্দের ইঙ্গিত মিলেছে। সারা দেশে গত বারের তুলনায় রেলের বরাদ্দ তেমন না বাড়লেও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ভাগ্যে গত বারের তুলনায় বাড়তি টাকা মিললেও মিলতেও পারে বলে ইঙ্গিত। বন্দে ভারতের পরে এ বার ‘নমো ভারত’ ট্রেন চালানোর কথাও বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ওই ট্রেনের জন্য আশা তৈরি হয়েছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে রেল সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ ইঞ্জিন এবং লাইনে ‘কবচ’ সুরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর উপরে জোর দেন। চালক বা গার্ডের ভুল থাকলেও যা যাত্রিবাহী ট্রেনকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে যা অনেকটাই সহায়তা করবে। সেই ‘কবচ’ বসানোর কথা এ বারের বাজেটেও রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় কি ‘কবচ’ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘মালদহের লোকো শেডে কিছু ইঞ্জিনে কবচ বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কিছু বসানো বাকি। কবচের দ্বিতীয় অংশ ট্রেন লাইনের পাশে বসানোর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।’’ তিনি জানান, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৭০ শতাংশ লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হয়েছে। সেবক–রংপো প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্প যেমন চলছে, এনজেপি স্টেশন বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশন ‘অমৃত ভারত’ স্টেশনে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে বলে জানান আধিকারিকরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)