Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

দূরশিক্ষা নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, নেপালি ভাষা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস এবং অঙ্ক— এই সাতটি বিষয়ে দূরশিক্ষায় স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৭
Share: Save:

আগামী জুন মাসে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর মূল্যায়ন। তাতে ন্যূনতম ৩.২৬ পয়েন্ট পেতে হবে দূরশিক্ষা পাঠ্যক্রম চালাতে হলে। কেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অনুযায়ী ওই পয়েন্ট না থাকলে দূরশিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ন্যাকের বিচারে ৩.০৫ পয়েন্ট রয়েছে। যথাযথ মানে পৌঁছতে এবং সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী বলে জানিয়েছেন।

এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষক পর্যাপ্ত না থাকা, পড়াশোনার সিলেবাস অনুসারে পাঠ্য বিষয়ের মান ঠিক না থাকা, পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন ছিল। নিয়মিত ক্লাস না হওয়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশও। সে সব খামতি মিটিয়ে দূরশিক্ষা ব্যবস্থা নিয়মিত যাতে চালানো যায়, সেই ব্যাপারে চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দূরশিক্ষা এবং পাশাপাশি নিয়মিত যে সব কোর্স রয়েছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটো একই সঙ্গে চালাতে গেলে ন্যাকের মূল্যায়নে ন্যূনতম ৩.২৬ পয়েন্ট পেতেই হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ন্যাকের মূল্যায়ন করাতে হবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সার্কুলার। চেষ্টা করছি আমাদের সমস্ত বিভাগকে নিয়ে আগামীতে যে মূল্যায়ন হবে, তাতে যেন ৩.২৬ পয়েন্ট পেতে পারি। তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষার যে কার্যক্রম রয়েছে, তা আরও ভাল ভাবে চালানো যাবে।’’ কর্তৃপক্ষ জানান, দূরশিক্ষা চালু রাখা যাবে তখনই, যখন বিশ্ববিদ্যালয় ৩.২৬ পয়েন্ট পাবে। এ বছরের জন্য ছাড় দেওয়া রয়েছে। তবে আগামী বছর ওই নির্দিষ্ট পয়েন্ট পেতেই হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, নেপালি ভাষা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস এবং অঙ্ক— এই সাতটি বিষয়ে দূরশিক্ষায় স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ রয়েছে। মাত্র ৭ জন শিক্ষক থাকা, পাঠ্য বিষয়ের মান নিয়ে অভিযোগ, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন দূরশিক্ষার পড়াশোনা স্থগিত করে দিয়েছিল। পরে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তাতেও সম্মতি মিলছিল না। তৃতীয়বার আবেদনে শেষ পর্যন্ত ফের কোর্স চালুর অনুমতি মেলে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মতো প্রতিটি বিষয়ে অন্তত ২ জন করে শিক্ষক রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই মতো শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। পাঠ্য বিষয় এবং অন্যান্য পরিকাঠামো ঠিক করা হচ্ছে। শুধু দূর শিক্ষা ব্যবস্থাই নিয়মিত কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নতির চেষ্টা চলছে। কেন না নির্ধারিত পয়েন্ট পেতে সব দিক থেকেই বিবেচনা করা হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy