কালাজ্বরের প্রকোপ দেখা দিল উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে। গোয়ালপোখর-২ ব্লকের চাকুলিয়া থানার শাসরা গ্রামে ১৫ জন বাসিন্দার শরীরে কালাজ্বরের জীবাণু ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ দেবাশিস মণ্ডলের নেতৃত্বে চিকিত্সকদের একটি প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় যান। দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ওই গ্রামের ২০ জন বাসিন্দার রক্ত পরীক্ষা করেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে দেড় বছরের এক শিশু ও দুই মহিলা- সহ ১০ জনের শরীরে কালাজ্বরের জীবাণু মিলেছে।
গত সপ্তাহে ওই এলাকার আরও পাঁচজন বাসিন্দা জ্বরের উপসর্গ নিয়ে চাকুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। রক্তপরীক্ষায় তাঁদের সবার শরীরেই কালাজ্বরের জীবাণু মিলেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। ওই গ্রামে প্রায় সাড়ে তিনশোটি পরিবারের বাস। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘কালাজ্বরে আক্রান্ত আগের পাঁচজন বাসিন্দার চিকিৎসা চলছে চাকুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই রোগে আক্রান্ত বাকি ১০ জনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, বেলে মাছি বা পতঙ্গবাহিত কোনও পোকার কামড়ে ওই ২০ জন বাসিন্দার শরীরে কালাজ্বরের জীবাণু ঢোকে। সাধারণভাবে আবর্জনা থেকে বেলেমাছি বা পতঙ্গবাহিত কোনও পোকার মাধ্যমে বাসিন্দাদের শরীরে কালাজ্বরের জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। দেবাশিসবাবুর দাবি, চিকিত্সকরা গোটা গ্রাম ঘুরে দেখেছেন। কোথাও কোনও আবর্জনার সন্ধান মেলেনি। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতর কালাজ্বরের প্রকোপ রুখতে ওই গ্রামের সর্বত্র কীটনাশক স্প্রে ও পাউডার ছড়ানোর কাজ শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy