তির, ধনুক, হাঁসুয়া, হাতুড়ি উঁচিয়ে রাস্তায় নেমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার ইস্তফার দাবিতে আদিবাসীদের বিক্ষোভে উত্তাল হলো দক্ষিণ দিনাজপুর।
সোমবার বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানে’র নেতৃত্বে কয়েকশো মানুষ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে আদিবাসী মহিলাদের উপর শারীরিক নির্যাতনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। জেলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চুবাবু কেন বিষয়টি নিয়ে তৎপর নন, সেই অভিযোগ তুলে মন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে বলেও সরব হন। রায়গঞ্জের ঘটনায় ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করা হয়েছে। পরে বাচ্চুবাবু বলেন, ‘‘আমি আদিবাসী সমাজের লোক। মন্ত্রী হয়েছি বলে আমাদের সমাজের দাবির সপক্ষে থাকবো, এই প্রত্যাশ্যা থেকেই ওঁরা ক্ষোভ বিক্ষোভ জানিয়েছেন।’’
এ দিন তপন ব্লকের কড়ইচেঁচরা এলাকায় মন্ত্রী বাচ্চুবাবুর বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামেন আদিবাসীরা। বাচ্চুবাবু তপন থেকে বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসে চলে আসেন। শেষে আদিবাসী সংগঠনের নেতাদের বুঝিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়। এরপরই দুপুর থেকে দুই দিনাজপুর থেকে কয়েকশো সশস্ত্র আদিবাসী মিছিল করে বালুরঘাট প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তুমুল উত্তেজনার আঁচ করে জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলার সমস্ত থানা থেকে অফিসার ও বিরাট সংখ্যক পুলিশ, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
ওই আদিবাসী সংগঠনের নেতা বিভূতি টুডু অভিযোগ করেন, ‘‘রায়গঞ্জের ঘটনায় আবারও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার ও বঞ্চনার ঘটনা প্রমাণিত হলো। দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে বাচ্চুবাবুকে তৎপর ভূমিকা নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy