প্রশান্ত কিশোর।—ফাইল চিত্র
‘‘হ্যালো, পিকের অফিস থেকে বলছি।’’
কাউন্সিলর: বলুন।
পিকের সহযোগী: দু’দিনে আপনাকে অন্তত চার বার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু আপনি ফোন ধরেননি।
কাউন্সিলর: আসলে মোবাইলের ট্রু-কলারে আপনার নামের পাশে এনজিও শব্দ থাকায় ফোন ধরিনি।
পিকের সহযোগী: কেন, এনজিও-তে কী কোনও অসুবিধা আছে?
কাউন্সিলর: অসুবিধা কিছু নেই।
পিকের সহযোগী: তবে! যাইহোক, আমি আপনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চাই। কবে আসব? আমি মালদহেই আছি।
কাউন্সিলর: আপনি পুরসভায় এসে দেখা করুন। আমি আছি।
মালদহে এসে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে এ ভাবেই যোগাযোগ করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থার কর্মীরা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পিকে-র সংস্থার ১০ জনের একটি দল ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের দলীয় কাউন্সিলর ও নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছরে কাউন্সিলররা কী ভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন বা কোথায় ব্যর্থতা রয়েছে— সে সব জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
দলের অন্দরমহলের খবর, এতে দুই পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর আশঙ্কায় পড়েছেন। আসন্ন পুরভোটে তাঁরা ফের টিকিট পাবেন কিনা, সেই প্রশ্নও তাঁদের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পিকে-র ওই প্রতিনিধিরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মালদহ জেলায় শিবির করে থাকবেন। সে জন্য জেলাসদর ইংরেজবাজার শহরে চারটি ঘর থাকা একটি বাড়ি ভাড়া নিতে খোঁজখবর শুরু করেছেন তাঁরা। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে দলের একাধিক নেতাকে খোঁজখবর দিতে বলা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকের আরও ১০ জনের দল এ বার জেলার ব্লকগুলিতেও কাজ শুরু করতে চলেছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বিধানসভা ভোট মাথায় রেখে রাজ্যে ফের ক্ষমতা দখল করতে ভোটকুশলী পিকের ‘সহযোগিতা’ নিচ্ছে দল। তারই অঙ্গ হিসেবে, অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদহেও পিকের নির্দেশে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে।
এ বছরের মে মাসে জেলার ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, দুই পুরসভার দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও এ বার বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে পিকের দল। দলীয় কাউন্সিলরদের পাশাপাশি গত পুর নির্বাচনে পরাজিত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা।
ইংরেজবাজার পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার বলেন, ‘‘পিকের দলের এক জন দু’দিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। বিষয়টি দলীয়, তাই এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘শুনেছি প্রশান্ত কিশোরের লোকেরা মালদহে এসেছেন এবং কাজ করছেন। এর বেশি কিছু বলা
সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy