প্রস্তুতি: আজ শুরু উচ্চ মাধ্যমিক। তার আগে বালুরঘাটের একটি স্কুলে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
সুভাষনগর হাইস্কুলে মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসের কেলেঙ্কারির পরে উচ্চ মাধ্যমিকে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের প্রবেশ রুখতে এ বার তাই তল্লাশি হবে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদেরও৷
আজ, সোমবার শুরু উচ্চ মাধ্যমিক। ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে সেন্টার সেক্রেটারির উপস্থিতিতে ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই তল্লাশি চালান হবে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে৷
মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার দিন সুভাষনগর হাইস্কুলের ভেনু সপারভাইজার তথা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সময়ের আগে প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগ উঠেছিল৷ গোটা রাজ্যে হইচই পড়ে যায়৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ৷
উচ্চ মাধ্যমিকে সেন্টার সেক্রেটারির দায়িত্ব সহকারী প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন অধিকারীর। রবিবারই নিরঞ্জনবাবু জানিয়েছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত নিয়ম যাতে ছ’টি স্কুলে কঠোর ভাবে পালন করা হয়, তা দেখা হবে৷ স্কুল সূত্রের খবর, সেই নিয়মের যাতে কোন ফাঁক না থাকে সে জন্য সুভাষ নগর হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে পরীক্ষার সময় স্কুলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য তাদের তল্লাশি করা হবে৷
নিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিয়ম রয়েছে কোন ছাত্র-শিক্ষক মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী আমাদের স্কুলের অধীনে থাকা ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের কোন শ্রেণীকক্ষে ৪০জনের বেশি পরীক্ষার্থী থাকলে মোবাইল তল্লাশির জন্য সেখানে একজনকে নিযুক্ত করা হবে৷ পাশাপাশি সুভাষ নগর হাই স্কুলে প্রবেশের সময় সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারও তল্লাশি হবে৷ পরীক্ষাকে ঘিরে পরবর্তীতে যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷’’ তিনি জানান, মহিলা শিক্ষকদের তল্লাশির দায়িত্ব মহিলা কর্মীদেরই দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগকে ঘিরে থমথমে পরিবেশের পাশাপাশি একটা চাপা উত্তেজনাও রয়ে গিয়েছে ময়নাগুড়িতে৷ এলাকার মোট ১৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটিতে পুলিশি প্রহরা থাকবে। পুলিশের চারটি গাড়ি ময়নাগুড়িতে টহল দেবে৷
এ দিকে সোমবার ময়নাগুড়িতে হরিদয়াল রায়ের পক্ষে মিছিল করে অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ৷ মিছিলে হরিদয়ালবাবুর পক্ষে থাকা তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ৷ যদিও শাসক দলের নেতারা তা মানতে চাননি৷ মিছিলে যোগ দেওয়া বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘‘দুই শিক্ষকের চক্রান্তে এমন ঘটনা ঘটেছে৷ তাই আমরা পথে নেমেছি৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy