নিজস্ব চিত্র
মেধা তালিকা অনুষায়ী আশা করেছিলেন, দ্বিতীয় কাউন্সিলিংয়ে চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু আশাভঙ্গ হয় তালিকার প্রথমেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম চলে আসায়। চাকরি পাননি শিলিগুলির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার। পাঁচ বছর কেটে গেলেও আজও তাঁর চাকরি হয়নি।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় বসেন ববিতা। ২০১৭-র ২৭ নভেম্বর মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে প্যানেল লিস্টে নাম ছিল না তাঁর। নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে। প্যানেলের পর ওয়েটিং লিস্ট থেকেও চাকরি হয়। তাই ববিতা আশা করেছিলেন তাঁরও চাকরি হবে। ওয়েটিং লিস্টের তালিকা প্রকাশের দাবিতে একাধিক পরীক্ষার্থী আদালতেরও দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে দেখা যায় ২০ নম্বরে নাম রয়েছে ববিতার।
মঙ্গলবার ববিতা দাবি করেন, প্রথম কাউন্সিলিংয়ের পর দ্বিতীয় কাউন্সিলিং শুরু হলে তিনি জানতে পারেন তালিকায় ২০ থেকে তাঁর নাম ২১-এ চলে এসেছে। সেই জায়গায় এক নম্বরে চলে এসেছে অঙ্কিতার নাম। বাধ্য হয়ে তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশন জানায়, আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) করার পর অঙ্কিতার নম্বর বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এর স্বপক্ষে কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি তারা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে অংশ নেন ববিতাও। এর পর পঞ্চম কাউন্সিলিং হয়ে গেলেও আর চাকরি মেলেনি তাঁর। তাঁর কথায়, ‘‘মেধা তালিকা অনুযায়ী ২০১৯-এ আমার চাকরি হয়ে যাওয়ার কথা। সেই সে তালিকায় প্রথমে অঙ্কিতার নাম চলে এল, আর চাকরি হল না। বাধ্য হয়ে আমি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।’’
ববিতার দাবি, ‘‘অঙ্কিতার ইন্টারভিউ ছাড়া প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। সেই জায়গায় আমার ইন্টারভিউ সমেত নম্বর ৭৭। ইন্টারভিউয়ের ১০ নম্বরের পুরোটাই যদি অঙ্কিতা পায় তা হলেও আমার নম্বর বেশি। তা হলে কী করে মেধা তালিকার প্রথমে তার নাম থাকে?’’
তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চাকরি হয় মন্ত্রী পরেশের মেয়ে অঙ্কিতার? হাই কোর্টের নির্দেশ, সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে। মঙ্গলবার রাত আটটায় হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পরেশ জলপাইগুড়ি থেকে রওনা দেন। এই পরিস্থিতিতে ববিতার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চাই, দুর্নীতি অনেক হয়েছে, এ বার স্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশ করে চাকরি দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy