Advertisement
E-Paper

উচ্চ প্রাথমিকের চতুর্থ কাউন্সেলিং ফেব্রুয়ারিতে করার দাবি

এ বার এমন প্রার্থীও উচ্চ প্রাথমিকে পাওয়া গেল, যাঁরা সুপারিশপত্র নিয়েছেন এবং নতুন স্কুলেও গিয়েছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই স্কুলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মেধা তালিকায় বাকি অপেক্ষমাণ ১০৭৯ জন প্রার্থীকে ডাকা হোক।

দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মেধা তালিকায় বাকি অপেক্ষমাণ ১০৭৯ জন প্রার্থীকে ডাকা হোক। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৫
Share
Save

উচ্চ প্রাথমিকে কাউন্সেলিংয়ের ডাক পেয়েছেন, কিন্তু আসেননি— এ রকম প্রার্থী আছেন। কাউন্সেলিংয়ে এসেছেন, কিন্তু ইন্টারভিউ দেওয়ার পরে সব দিক বিবেচনা করে সুপারিশপত্র নেননি— তেমন প্রার্থীও আছেন। এ বার এমন প্রার্থীও উচ্চ প্রাথমিকে পাওয়া গেল, যাঁরা সুপারিশপত্র নিয়েছেন এবং নতুন স্কুলেও গিয়েছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই স্কুলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাচ্ছে, সুপারিশপত্র পেয়ে স্কুলে গিয়েও চাকরিতে যোগ না দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা কত, তা এখনই নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে যাঁরা স্কুলে যোগদান করছেন না, তাঁদের পদগুলি নথিভুক্ত হচ্ছে। এই সব পদে অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ পাবেন।

উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের তৃতীয় কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ জানুয়ারি। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থীদের জন্য যে শূন্য পদ তৈরি হয়েছিল, তার ভিত্তিতে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হচ্ছে। এ বার তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন এবং যাঁরা সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে স্কুলে গিয়েও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সব মিলিয়ে মোট শূন্য পদের ভিত্তিতে চতুর্থ কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে প্রার্থীদের।

‘পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘স্কুলে গিয়ে চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা কিন্তু খুব কম নয়। আমরা জানতে পেরেছি, এখনও পর্যন্ত এমন প্রার্থী ২০০-র আশপাশে হবেন। আমাদের দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মেধা তালিকায় বাকি অপেক্ষমাণ ১০৭৯ জন প্রার্থীকে ডাকা হোক।’’

প্রশ্ন উঠেছে, সুপারিশপত্র নেওয়ার পরে স্কুলে গিয়েও কেন যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রার্থীরা? এমন এক চাকরিপ্রার্থী মৌড়িগ্রামের সঙ্গীতা কোলে বলেন, ‘‘আমি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করছি। সেটা আমার বাড়ির খুব কাছে। নতুন যে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে সুযোগ পেলাম, সেটা বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে। তাই না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ একই ভাবে আর এক প্রার্থী নদিয়ার পৌলমী বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার বর্তমান প্রাথমিক স্কুল বাড়ির কাছে। নতুন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলটি বেশ দূরে। তাই ওই স্কুলে ঘুরে এসেও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েও দিয়েছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

demand Upper Primary

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}