প্রতীকী চিত্র
সব ঠিক থাকলে করোনার প্রকোপের মধ্যেই সুখবর আসতে পারে বাগডোগরা বিমানবন্দর নিয়ে। সব ঠিকমতো চললে ২৮ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভায় বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য ১১০ একর জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত সিলমোহর দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সরকারি সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের সামনের অংশে থাকা চা বাগানের জমির লিজ তুলে নিয়ে সরকারের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে (এএআই) দেওয়ার নথিপত্র তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় এক দফা আলোচনা হয়েছে। রাজ্য জমি দিলেই শুরু হয়ে যাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের কাজ। প্রস্তাবিত নতুন পরিকাঠামো তৈরির পরে বিমানবন্দরের নাম ভাবা হচ্ছে- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি নামের প্রস্তাব রয়েছে। রাজ্যের তরফে সেগুলি এএআই-কে জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ তথা শিলিগুড়ির জন্য পরপর যা করছেন তা কোনওদিন হয়নি। উত্তরকন্যা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর-সহ অসংখ্য উন্নয়নের কাজের কান্ডারি উনি। এ বার বাগডোগরা বিমানবন্দর। দ্রুত জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বাগডোগরা উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল এবং বাণিজ্যিক বিমানবন্দর। সম্প্রতি দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় ১৭ নম্বরে বাগডোগরার নাম এসেছে। ২০১৪-১৫ সালে বাগডোগরা বছরে ১০ লক্ষ যাত্রীর রেকর্ড পার করে। এর আগে ২০১০ সালে বায়ুসেনা এবং রাজ্য সরকার এএআইকে ২৩ একরের মতো জমি দেয়। তাতে অত্যাধুনিক ক্যাট-২ প্রযুক্তির ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস বসানো হয়। খারাপ আবহাওয়ায় এবং রাতের বিমান চলাচলের সমস্যা মিটতেই বায়ুসেনাও ৬টার পর বিমান ওঠানামার অনুমতি দেয়। বাগডোগরা একটি সামরিক বিমানবন্দর। এখানে এটিসি বায়ুসেনাই নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে বাড়তে বছরে ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। বিমানের সংখ্যা এবং গন্তব্যও বাড়তে থাকে। নানা অভিযোগও উঠতে থাকে বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে। শেষে এএআই রাজ্যের কাছে ১১০ একর জমি চায়। কিন্তু সরকারের হাতে জমি না থাকায় তা কিনতে হবে বলে রাজ্য জানিয়ে দেয়। শেষপর্যন্ত এএআই বোর্ড জমির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। যা দেশে প্রথম। গত দু’বছরে কয়েকটি বেসরকারি মালিকানাধীন জমির সমস্যা মেটানো হয়েছে। এর পরে একটি চা বাগানের জমি এএআই-র পছন্দ হয়। বাগানের জমি হওয়ায় লিজ ফেরত নিয়ে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাগানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে গত এক বছর ধরে প্রশাসনিক স্তরে কাজ চলছিল।
এএআই-র কয়েকজন অফিসার জানান, বিমানবন্দরের টার্মিনালে করোনার আগে ঘণ্টায় ৩-৪ হাজার যাত্রী থাকছিলেন। কিন্তু টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতা ৭০০। তাই পুরনা টার্মিনাল যতটা সম্ভব বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু নতুন টার্মিনাল ভবন না হলে কোনওদিনই সমস্যা মিটবে না। জমি পাওয়ার ২ বছরের মধ্যে নতুন বিমানবন্দরের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy