সরকারি অফিসকে ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারের কাজ করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম চত্বরে থাকা পুরসভার যুব আবাসের দফতরে।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেই ব্যক্তি ওই যুব আবাসের অস্থায়ী কর্মী। দফতরে কাজের সময়ে তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটকের নাম লেখা ভোটার স্লিপ বিলি করার উদ্দেশ্যে খামে ভরার কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুরভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ দেবের নির্বাচনী এজেন্ট সুবীর ঘোষ। যদিও অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন সুজয়বাবু।
অভিযোগের কথা স্বীকার করেন মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়া। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’’ শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তি এবং তাঁর এক সঙ্গীকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘‘এমসিসি বিষয়টির তদন্ত করছে। তারাই যা পদক্ষেপ করার করবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম চত্বরে থাকা যুব আবাসের কার্যালয়ে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি সহ আরও কয়েকজন। তবে বাকিরা পুরসভার কর্মী নন। সেই সময় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট সহ প্রার্থীর ছেলে পুলিশকে খবর দেন, সরকারি দফতরকে ব্যবহার করে সুজয়বাবুর নামের স্লিপ গোছানো হচ্ছে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনাটি এমসিসি সেলকে জানানো হয়।
প্রদীপবাবুর ছেলে পার্থ দেব বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি কংগ্রেসের কর্মী। তিনি কয়েকদিন ধরেই এ’কাজ করছিলেন। এদিনও তাঁদের একই কাজ করতে দেখে পুলিশকে খবর দিই।’’ যদিও সুজয়বাবুর দাবি, ‘‘গোটা ঘটনাটি সাজানো ও যুক্তিহীন।’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত কংগ্রেস সমর্থক। ওঁর ব্যাগে কিছু স্লিপ ছিল। তা ওঁরাই ছড়িয়ে দিয়ে অভিযুক্তকে ফাঁসাতে চাইছেন।’’ এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি এমসিসি সেলের ওসি বাইরে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ওসি প্রদীপ দাস কিছু জানেন না বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy