সংস্কার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। রবিবার কার্শিয়াঙের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তার উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পরিষেবার মান কতটা ফিরবে তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। এ দিনই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য ঘোঘোমালিতে রক্ত সংগ্রহের শিবির ছিল। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের তরফে শিবির করতে যে দুটি শয্যা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার একটি ভাঙা থাকায় রক্ত সংগ্রহের কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের। শেষে বেঞ্চ জোগার করে কোনও রকমে শিবির করতে হয়। ফিরে এসে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে অভিযোগও করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের একাংশ।
নিয়ম মেনে রক্ত নিতে বা দিতে গেলে কর্মী নেই বলে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখা, ‘ডোনার কার্ড’ নিয়ে গেলেও রক্তদাতা নিয়ে আসতে বলা, নানা ভাবে ঘোরানোর অভিযোগ রয়েছে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কোন বিভাগের কতটা রক্ত রয়েছে সেই তালিকাও দায়িত্বে থাকা আধিকারিক টাঙাতে চান না বলে অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির একাংশের। বেলা ৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তার পর প্রয়োজনে অন কলে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শিলিগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে ২৪ ঘন্টাই ব্লাড ব্যাঙ্কের পরিষেবা না-মেলায় সমস্যা পড়তে হয়।
কার্শিয়াঙের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে অপেক্ষা করছিলেন রুদ্রনাথবাবু, সুপার অমিতাভ মণ্ডলরা। রুদ্রবাবু বলেন, ‘‘পরিষেবার মান ঠিক রাখতে, কাউকে যাতে হেনস্থা হতে না-হয় তা দেখা হবে। রক্ত কতটা রয়েছে তার তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছে।’’ অন্য জেলা হাসপাতালগুলির ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে মোবাইল গ্রুপে যোগ থাকছে বলে জানান তিনি। কোনও বিভাগের রক্ত কম থাকলে কাছাকাছি অন্য হাসপাতাল থেকে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে দাবি করেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের বরাদ্দে ব্লাড ব্যাঙ্ক সংস্কার হয়েছে। এখন ৩ জন কর্মী এবং দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দিতে বাড়তি কর্মী নিয়োগের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy