এই রেল ব্রিজের পাশেই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
একই জায়গায়, প্রায় একই রকম ভাবে ছয় মাসের ব্যবধানে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল দুই যুবতীর। এলাকাবাসীর দাবি, ওই দুই যুবতীকে খুন করেছে কেউ বা কারা। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় চাঁদামুনির চামটা এলাকার ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ তাঁদের। পাল্টা পুলিশের দাবি, তদন্ত যথাযথ চলছে।
শনিবার সকালে চাঁদমুনির চামটা লাইন এলাকায় এক যুবতীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সকালে রেলব্রিজের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই যুবতীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যুবতীর দেহ এমন ভাবে রেললাইনের ধারে পড়ে ছিল, যাতে মনে হয় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত যুবতী ওই এলাকারই বাসিন্দা। মাদকাসক্ত ছিল সে। হেরোইনের মতো মাদকও তিনি ব্যবহার করতেন বলে পরিচিতদের দাবি।
শনিবার দুপুর নাগাদ ওই যুবতীর দেহ শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তাঁর পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া গোটা শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ যেখানে মিলেছে, তার পাশেই কিছুটা জায়গায় রক্তের দাগ মিলেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
ঠিক একই জায়গায় মাসছয়েক আগে একই রকম ভাবে কিসমত মাহালি নামে এক ব্যক্তির মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছিল বলে সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন কিসমত। সেই মৃত্যু-রহস্যের কোনও কিনারা এখনও হয়নি। তাঁর মেয়ের মতো এই যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর কিসমতের অভিযোগ, ‘‘ওই যুবতী মাদকাসক্ত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পড়াশোনা জানা, সুন্দরী ছিল ওই যুবতী। কেন এমন ঘটনা ঘটল জানি না। নেশা করে পড়ে গিয়েছে, নাকি কেউ মেরে রেললাইনের পাশে ফেলে দিয়ে গিয়েছে তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু ছ’মাস আগে আমার মেয়েকেও একই ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তার কোনও তদন্ত হয়নি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘আপাতত বিষয়টি রেল পুলিশ দেখছে। তবে আমরাও তদন্ত করছি। মৃতার পরিবারের তরফে যে অভিযোগগুলো রয়েছে, সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ তবে মাসছয়েক আগের ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy