যাত্রা: দার্জিলিঙের টয়ট্রেন। ফাইল চিত্র
ট্যুইটারে অভিযোগ পেয়ে টয় ট্রেন চলাচল নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে রেলবোর্ড। দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেনের জয় রাইডের জন্য ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করে রেল মন্ত্রকের ট্যুইটার হ্যান্ডলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক পর্যটক। তারপরেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) কর্তৃপক্ষের কাছে টয় ট্রেন চলাচল নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন জানতে চেয়েছে রেল বোর্ড। সূত্রের খবর, শীঘ্র রেল বোর্ডের এক প্রতিনিধি দল টয় ট্রেন চলাচল পরিদর্শন করতেও আসতে পারেন।
ডিএইচআর কর্তৃপক্ষের কাছে রেল বোর্ড জানতে চেয়েছে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি চলাচলের টয় ট্রেনের কতগুলি রেক রয়েছে, কটি ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলির হাল কেমন। গত এক মাসে পর্যটকদের জন্য চালানো ‘জয় রাইড’, জাঙ্গল রাইড-সহ দার্জিলিং-শিলিগুড়ি টয় ট্রেন কখন ছেড়েছে গন্তব্যে কখন পৌঁছছে, দেরি হলে কেন দেরি হয়েছে, তার বিশদ তথ্য চেয়েছে বোর্ড। কোন অফিসারেরা সে দিন কর্তব্যে ছিলেন তাঁরও খোঁজখবর চলছে।
গত সোম, মঙ্গল, বুধ তিন দিনই জয় রাইডের টয় ট্রেন দেরিতে চলেছে। পর্যটকদের দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রতি দিন ৯ জোড়া ট্রেন দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত চলাচল করে। গত পরপর দু’দিন একটি করে জয় রাইড বাতিল হয়ে যায়। গত বুধবার এক পর্যটক ট্যুইট করে রেল মন্ত্রকে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল আগের দিন তিনি যে জয় রাইডের টিকিট বুক করেন সেটি ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি দেরিতে চলায় তিনি টিকিট বাতিল করতে বাধ্য হন। পর দিন ফের টিকিট কাটেন। সেই ট্রেনের জন্যও ঘণ্টাখানেকের বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ডিএইচআর-এর এরিয়া ম্যানেজার নরেন্দ্র মোহন বলেন, ‘‘কারিগরী কারণে ট্রেন অনেক সময়ে দেরিতে চলে। সে কারণে মাঝেমধ্যে কোনও জয় রাইড চলাচল বাতিলও হতে পারে। পর্যটকদের যাতে কোনরকম দুর্ভোগ না পোহাতে হয় তার দিকে নজর রয়েছে।’’
যাত্রীদের অভিযোগ, টয় ট্রেনের রেকগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় লড়ঝড়ে হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং লোকো শেডে থাকা ৬টি ডিজেল ইঞ্জিনের সব ক’টি অন্তত ষাট থেকে সত্তর বছর পুরনো। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। ইঞ্জিনগুলিও মাঝেমধ্যেই ব্রেকডাউন হয় এবং সবকটির গতি কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ। লড়ঝড়ে রেকে চাকা আটকে যাওয়ার সমস্যাও লেগেই থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy