Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Raiganj Medical College

মেডিক্যালে কর্মীর অভাবে বন্ধ করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র

এ বিষয়ে মেডিক্যালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদারের দাবি, মাস খানেক আগে ল্যাবরেটরির ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ পদে কর্মরত কর্মী চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ।

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৪
Share: Save:

দেশে করোনার নয়া প্রজাতির প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি। এ রাজ্য নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের দাবি, করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে রোগীদের বেশি পরিমাণে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা করানো উচিত। সেই পরীক্ষায় কারও শরীরে করোনার জীবাণু মিললে, তাঁকে আলাদা রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু রায়গঞ্জ মেডিক্যালে এর উল্টো চিত্র বলে অভিযোগ। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, সেখানকার চিকিৎসকদের করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগীদের আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষার পরামর্শ না দেওয়ার ‘অলিখিত’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, করোনা আবহ চলে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মেডিক্যালের আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরি বন্ধ রয়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছর অগস্ট মাসে মেডিক্যালের আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরিতে শেষ বার করোনা পরীক্ষা হয়েছিল।

এ বিষয়ে মেডিক্যালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদারের দাবি, মাস খানেক আগে ল্যাবরেটরির ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ পদে কর্মরত কর্মী চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। ফলে, এখন ওই ল্যাবরেটরিতে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিপ্লবের আরও বক্তব্য, “মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা সবাই সব কিছু জানেন। তাই, আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া, মেডিক্যালে করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগীদের তেমন ভিড় নেই। প্রয়োজনে রোগীর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা করানো হচ্ছে।” যদিও মেডিক্যালের এক চিকিৎসকের দাবি, “কোনও রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত হতে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে রোগীর লালারস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।” উত্তর দিনাজপুর জেলায় একমাত্র মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের পরামর্শে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে রোগীদের করোনা নির্ণয়ের লালারস পরীক্ষা হয়। ল্যাবরেটরিতে এক জন ‘বায়োলজিস্ট’, এক জন ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ ও এক জন ‘ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান’ করোনা নির্ণয় করার পরীক্ষার কাজ করেন। জানা গিয়েছে, ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ পরীক্ষার প্রধান কাজটি করেন। এক মাস ধরে ওই পদে কেউ না থাকায় ওই ল্যাবরেটরি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মেডিক্যালের দাবি। মেডিক্যালের এক আধিকারিক বলেন, “১১ জানুয়ারি ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই এক জন ‘মলিকুলার বায়োলজিস্ট’ নিয়োগ করে ওই ল্যাবরেটরি চালু করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

RTPCR Corona Test
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy