শিলিগুড়ি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
বাম আমল থেকে তৃণমূলের বর্তমান জমানা। বড় হতে থাকা শিলিগুড়ি শহর তো বটেই মহকুমার এক বড় অংশকে ঘিরে নতুন পুরসভার দাবি বার বার আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বিশেষ করে, শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে জুড়ে থাকা মাটিগাড়া, শিবমন্দির বা আঠারোখাই এলাকাকে ঘিরে পুরসভার দাবি অন্তত ১৩ বছরের পুরনো। বাম আমলে, ২০১০ সালে ময়নাগুড়ির সঙ্গে শিবমন্দির বা আঠারোখাইয়ের নাম বিবেচিত হয়েছে। পরে এসেছে, এর পার্শ্ববর্তী বাগডোগরার পুরসভার দাবিও।
নবান্নের বিভিন্ন স্তর থেকে পুর দফতরের গোচরে বার বার দাবির কথা শোনা গেলেও নতুন করে ঘোষণা করে হয়নি কিছুই। ২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার আগে, শিলিগুড়ি নতুন করে কোনও পুরসভা পাবে কিনা, তা দেখতে উৎসাহী অনেকেই। আবার শাসক দলের অন্দরের আলোচনা, বাগডোগরা বা শিবমন্দির নিয়ে সরকারি স্তরে আলাদা ব্যবস্থা হতেই পারে। সেই সঙ্গে নতুন করে বাড়তে পারে শিলিগুড়ি পুরসভায় আয়তনও।
অনেকে দাবি করছেন, আয়তন বৃদ্ধি নয়, শিবমন্দির বা বাগডোগরাকে ধরে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের এলাকার মতো তৈরি হোক, ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি মিনিউসিপ্যাল কর্পোরেশন’। বিকল্প হিসাবে সরকার শিবমন্দির, বাগডোগরা নিয়ে নতুন কিছু চিন্তা করলে ডাবগ্রাম এবং ফুলবাড়িকে ধরে বেড়ে যেতে পারে শিলিগুড়ি পুরসভার আয়তন। অন্তত ২৫-৪০টি নতুন ওয়ার্ড সামনে আসতে পারে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘শিবমন্দিরের দিকে আলাদা পুরসভার কথাই ভাবা রয়েছে। আর শিলিগুড়ি পুরসভা বড় হবে। সমীক্ষা বা সরকারি স্তরে কিছু চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আগামী দিনে তা সামনে আসবে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত এক দশকে শিলিগুড়ি শহর আয়তনে বেড়েছে। শহরকে ঘিরে বৃহত্তর শিলিগুড়ি তৈরি হয়েছে। এক দিকে, ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি বা ইস্টার্ন বাইপাসের মতো এলাকা রয়েছে। অন্য দিকে, মাটিগাড়া, শিবমন্দির এবং বাগডোগরাকে ঘিরে নতুন শহরের বৃত্ত বেড়েছে। এই পুরো এলাকায় একের পরে এক নতুন উপনগরী গড়ে উঠছে। সেই সঙ্গে অন্তত এক হাজারের বেশি বাণিজ্যিক বহুতল আবাসন তৈরি হয়েছে। এই বৃহত্তর শিলিগুড়ির লোকসংখ্যা কম-বেশি ১২ লক্ষ। সেখানে নাগরিক পরিষেবাকে আরও উন্নত করার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরকে বাড়িয়ে তোলার সময় এসেছে।
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণের কথায়, ‘‘কতদিন ধরে এই এলাকার নতুন পুরসভা বা শিলিগুড়িকে পুরসভাকে বড় করার দাবি উঠেছে। পুর দফতর তো বটেই রাজ্য সরকারও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ আবার এ নিয়ে বিভেদের প্রশ্নও তুলেছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকারও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নতুন পুরসভা হলে কৃতিত্ব বিধায়কদের হতে পারে, এই আশঙ্কা বরাবর শাসক দলের মধ্যে রয়েছে। আর সব সময় এই এলাকায় তৃণমূল-বিরোধীরাই জিতে চলেছেন। উন্নয়ন, উন্নতির প্রশ্ন এলেও নতুন পুরসভা বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy