ধষর্ণের প্রতিবাদে মিছিল পড়ুয়াদের। ছবি: রাজকুমার মোদক।
ধূপগুড়ির স্কুলছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত তার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে তুলে দেওয়া হল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার মহিলা সেলের হাতে। শনিবার ভোরে মহিলা সেলের ওসি কেএল শেরপার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ধূপগুড়িতে পৌঁছে ছাত্রী এবং ধৃত তিন অভিযুক্তকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যান। সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার পরে ছাত্রীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে হোমে পাঠানো হয়। অন্যদিকে দুপুর নাগাদ ৬/১৭ ‘প্রিভেনশন অব চাইল্ড সেক্সুয়াল অফেন্সের’ (পকসো) ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের জেলা দায়রা আদালতের থার্ড কোর্টে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের সোমবার পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়ে মামলাটি বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করেন।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথন বলেন, “ছাত্রীর অভিযোগ অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।” আতঙ্কিত থাকায় এদিন পুলিশ এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্তারা ছাত্রীর সঙ্গে কথা না বলে তাকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুর নাগাদ তাঁকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার সুস্মিতা ঘোষ বলেন, “মেয়েটি ঘোরের মধ্যে আছে। একটু স্বাভাবিক হলে মনোবিদদের দিয়ে কাউন্সিলিং করানো হবে। আমরা চাইছি হোমে থেকে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করে ওঁর ভয় কাটুক।”
এদিকে শনিবার সকাল থেকে ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত ছিল কালীর হাট গ্রাম। গ্রামের পাইকার পড়ায় ছাত্রীর ভাঙাচোরা দরমার বেড়া দেওয়া বাড়িতে দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে একা ছিলেন মা। তিনি মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে পাশে আত্মীয়ের পাকা বাড়ির দেখিয়ে বলেন, “ওঁরা মেয়েকে অপবাদ দেয়। তা নিয়ে দুই পরিবারের লোকজন এবং কয়েকজন আত্মীয়কে ডেকে গোপনে দু’বার বৈঠক হয়েছে।
ধর্ষণের প্রতিবাদে এদিন মিছিল করে ওই ছাত্রীর স্কুলের পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy