পরপর দু’দিন ধরে শীতলখুচি এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হল। শুক্রবার শীতলখুচি ব্লকের বড় মরিচা, আক্রারহাট, লাল বাজার, বড় মরিচা, পঞ্চার হাট, নয়া বাজার এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস ও তাঁদের সমর্থকদের দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে শীতলখুচি এলাকায় দোকান পাট খোলা থাকলেও পরিবেশ থমথমে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
দীর্ঘ কয়েক মাস পর বন্ধ থাকার পর এ দিন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে রাজ্যের শাসক দল দাবি করেছে। শীতলখুচি কলেজ এবিভিপি-র হাত থেকে দখল মুক্ত করা হয় বলেও তৃণমূলের দাবি। এ দিন সকালে সাহের আলি মিঁয়ার নেতৃত্বে তৃণমূল দলীয় কার্যালয়গুলি দখল মুক্ত করে বলে দলের তরফেই দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী ও পুলিশ মিলে আমাদের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে এবং পুলিশ আমাদের ১১ কর্মীকে গ্রেফতার করে।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাত থেকে তৃণমূলের কর্মীরা বড় মরিচা এলাকায় আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। সকালে আক্রারহাট এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বন্দুক নিয়ে বিজেপির কর্মীদের উপরে আক্রমণ করা হয়। আমাদের কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে বোমাও ছোড়া হয়েছে। তাতে আমাদের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।’’ এ বিষয়ে তাঁরা পুলিশকে অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের নেতা সাহের আলি মিয়াঁ বলেন, ‘‘আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে।’’ তিনি জানান, বোমা ছোড়া, কোনও দলের কার্যালয় ভাঙচুর বা কাউকে মারদরের সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি নিজেরাই গন্ডগোল করছে, আমাদের নামে অভিযোগ করছে।’’ তিনি জানান, লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির কর্মীরাই বরং তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করে নেয় এবং তাঁদের কর্মীদের উপর মারধোর করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘সেই কার্যালয় উদ্ধার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy