Advertisement
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
Marriage Registration

সম্পাদক সমীপেষু: সরল পদ্ধতি

যদি পাত্র-পাত্রীরা তাঁদের তথ্যাদি সরকারি নিয়ম মতে আপলোড করতে পারেন ও পরে এক দিন এসে চূড়ান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে নেন, তবে তাতে আপত্তি কোথায়?

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩২
Share: Save:

বর্তমানে একটি জটিল সরকারি সমস্যাকে কেন্দ্র করে এই চিঠির অবতারণা। বিষয়টি হল ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন করার সরকারি অনলাইন পদ্ধতি। এই দফতরটি আইন ও বিচার ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত। আগের পদ্ধতিতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে এক মাসের নোটিসের পর নির্দিষ্ট দিনে গেলে ব্যাপারটা সম্পন্ন হয়ে যেত। বর্তমানে পুরোটাই হয় অনলাইন। এ ক্ষেত্রে বিয়ের পূর্বে ও পরে পদ্ধতি এক রকম। পাত্র-পাত্রীকে নির্দিষ্ট সরকার মনোনীত এজেন্টের কাছে সরাসরি উপস্থিত হয়ে সব কিছু আপলোড করতে হয়। তা ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের বায়োমেট্রিক করতে হয়। ফর্ম আপলোড হলে পরের তারিখে আবার পাত্র-পাত্রী’সহ সাক্ষী নিয়ে সব তথ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হয়। সমস্যা হল, পাত্র-পাত্রী যেখানেই থাক না কেন, স্বদেশ বা বিদেশ, তাঁদের নিজস্ব থানা এলাকার এজেন্টের কাছে আসতেই হবে। কর্মব্যস্ততার যুগে দূরদূরান্ত থেকে আসা মুশকিল হয়। পরবর্তী তারিখে, যেটা এক মাস পরের একটি দিনে হয়, সেই ক্ষেত্রেও আবার সকল সাক্ষী-সহ নিজের থানা এলাকায় হাজির হতে হয়। কলেজে ভর্তি বা জমি সংক্রান্ত ব্যাপার আপলোড করার মতো সরকারি কাজে সাধারণত এক বার চূড়ান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার পর তা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নিজেরাই তা করতে পারেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি অনেক জটিল হয়ে গিয়েছে। যদি পাত্র-পাত্রীরা তাঁদের তথ্যাদি সরকারি নিয়ম মতে আপলোড করতে পারেন ও পরে এক দিন এসে চূড়ান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে নেন, তবে তাতে আপত্তি কোথায়? সুদূর আমেরিকা প্রবাসী কোনও পাত্রের পক্ষে কি এখানে দু’বার আসা-যাওয়া বাস্তবে সম্ভব?

পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও এক বার নিজে আপলোড করার পর চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনের জন্য এক দিন এলেই হয়ে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকার প্রক্রিয়াটি এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছে। এবং অদ্ভুত ভাবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও ফি বেঁধে দেয়নি। ফলে এঁরা খেয়ালখুশি মতো টাকা নিয়ে থাকেন। তা ছাড়া সার্ভারের সমস্যা তো এক পরিচিত সমস্যা। এখনকার ব্যস্ত সময়ে এই পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়া দরকার। প্রক্রিয়াটি এক দিনে তৎকাল পদ্ধতিতে যদি সম্পন্ন করা যায় তবে ভাল হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিদ্যুৎ কুমার মজুমদার, চিনপাই, বীরভূম

প্রিমিয়াম বাদ

আয়কর জমা দেওয়ার নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে কোনও রকম জমা ও বিমার প্রিমিয়ামের টাকা বাদ দেওয়া হয় না, যা পুরনো নিয়মে হত। এই নতুন নিয়ম চালু করার পর এমন কিছু বিধি আরোপ করা হয়েছে যাতে আয়করদাতারা পুরনো নিয়মের তুলনায় নতুন নিয়মেই বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। এটাই সরকারের অভিপ্রায় ছিল। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই সরল ব্যবস্থা আকর্ষণীয় এবং সুবিধাজনক। প্রবীণদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিকিৎসার খরচ, ওষুধের দাম ও বৃদ্ধ বয়সে সহায়তামূলক সরঞ্জাম যেমন ডায়াপার, লাঠি, হুইলচেয়ার, চশমা, শ্রবণযন্ত্র এবং আরও হরেক আনুষঙ্গিক জিনিসের এবং তা সারানোর খরচও ক্রমবর্ধমান। প্যারালিটিক বা সেমিপ্যারালিটিক প্রবীণদের জন্য সহায়িকা বা সেবিকা ছাড়াও অন্য ব্যবস্থার জন্য খরচের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামও।

অধিকাংশ প্রবীণেরই আয় বলতে জমা রাখা মূলধন থেকে সুদ এবং যাঁদের পেনশন আছে সেই বাবদ অর্থ। অনেকেরই পেনশন খুবই সীমিত। এই অবস্থায় প্রবীণ আয়করদাতাদের নতুন জমানার আয়কর নিয়মের থেকে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের টাকা বাদ দেওয়ার সুবিধের কথা আগামী বাজেটে বিবেচনা করলে বড় উপকার হয়। অর্থমন্ত্রী ভেবে দেখবেন কি?

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-১০৪

ওষুধের দাম

আজকাল ডাক্তারবাবুদের চেম্বার ও ওষুধের দোকানে ভিড় চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওষুধের দামও আকাশছোঁয়া। ওষুধের দাম বাড়ার একটি কারণ হল উচ্চ হারের জিএসটি। আমাদের দেশে বহু ওষুধের উপরে জিএসটি ১২%। শরীর থাকলে অসুখ থাকবে। আর অসুখ সারাতে ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু ওষুধের দাম যদি আকাশছোঁয়া হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? সরকার যদি মানুষের স্বাস্থ্যের চেয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোর মুনাফাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তা হলে তা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল লক্ষণ নয়।

নারায়ণ দত্ত, বর্ধমান

সুব্যবস্থা কই

গত বছর ডিসেম্বরে এক জনের সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশনের কাজে অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার অব অ্যাশিয়োরেন্সেস-এর অফিসে গিয়ে গোটা দিন লেগে গেল কাজটি সারতে। এখানে সারা দিনে দু’শোর বেশি সম্পত্তি হস্তান্তরের রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে। প্রতি রেজিস্ট্রেশন কেসে সরকারি স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ আদায় হয় কমপক্ষে দু’-তিন লক্ষ টাকা। দৈনিক পাঁচ-ছ’কোটি আয় যেখানে, সেখানে ওই কাজে আসা লোকজনের সুষ্ঠু বসার ব্যবস্থা বা ওয়েটিং হল-এ যথেষ্ট চেয়ার নেই। অর্ধেক চেয়ারই ভাঙাচোরা। অধীর লোকজন কাউন্টারগুলোর সামনে জটলা পাকিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন কত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে ওখান থেকে বেরোনো যায়। ঠিকঠাক বসার জায়গা, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে নাম ডাকা হলে ওয়েটিং লাউঞ্জ থেকে সেই গ্রাহকরাই শুধু কাউন্টারে যাবেন— এমন সুষ্ঠু ব্যবস্থাই কাম্য। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সৌম্যেন্দ্র নাথ জানা, কলকাতা-১৫৪

দুর্ঘটনা রোধে

লালবাজার থেকে কাশীপুর, আবার লালবাজার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ— এই পথে শেষ কবে ট্রাম চলেছে, তা মানুষ ভুলে গিয়েছেন। অথচ এই দীর্ঘ রাস্তাগুলোতে ট্রামলাইন থাকায় বিশেষত বর্ষাকালে দু’চাকার গাড়িগুলো যে কী ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়ে, তা কি প্রশাসনের চোখে পড়েনি? বেশ কয়েক বার পুলিশের বাইককেই স্কিড করে যেতে দেখেছি ওই সব ট্রামলাইন থাকার ফলে। হয় ওই ট্রামলাইন তুলে ফেলা হোক অথবা পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হোক।

প্রসেনজিৎ দত্ত, বরাহনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

বার্ধক্য ভাতা

‘পেনশন বৃদ্ধির দাবি’ (৮-১২) শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের কয়লা ক্ষেত্রের প্রাক্তন কর্মীদের অনেকেই এখন মাসিক ৪৯ টাকা পেনশন পান। এমন মন্দভাগ্য কর্মীদের সংখ্যা ৮১ হাজার। বলা বাহুল্য, এই দুর্মূল্যের বাজারে মাসে এই সামান্য টাকা পেনশন হিসেবে দেওয়া ভিক্ষারই নামান্তর। সারা দেশের কোথাও এমন জায়গা আছে বলে জানা নেই, যেখানে ৪৯ টাকায় সারা মাস তো দূর, একটি দিনও কেউ তিন বেলা ভরপেট খাবার সংগ্রহ করতে পারবেন।

যেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে বিশ্বের পাঁচটি সেরা অর্থনীতির স্তরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছেন, সেখানে দেশের এক বড় সংখ্যক প্রবীণ সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এমন নিদারুণ রসিকতা কেন? সংবাদটিতে আরও প্রকাশ, এই ৮১ হাজার জনের মধ্যে যে ১৭ হাজার জন মাসিক এক হাজার টাকা পেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন, কাগজপত্র নেই জানিয়ে তাঁদের দাবি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই বঞ্চনা বন্ধ হোক।

সাধন মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দনগর, বাঁকুড়া

অন্য বিষয়গুলি:

Marriage passport Online
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy