প্রতীকী ছবি
বালিয়া নবাবগঞ্জ গণধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত অশোক সাহাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মালদহ জেলা সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডের পর পুলিশ অভিযুক্তকে চার দিনের জন্য হেফাজতে পায় শনিবার। এ দিন দুপুরে তাকে মহানন্দা নদীর গুজরঘাটে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় মালদহ থানার পুলিশ। সেখানেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অশোক এ দিন গুজরঘাটের কোন জায়গায় নির্যাতিতাকে দেখেছিল, কী ভাবে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে সেই সবেরই বিবরণ দিয়েছে। এই গণধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত অপর এক অভিযুক্ত বাবলু ভগতকে পুলিশ তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। সে এখন মালদহ জেলা সংশোধনাগারে বন্দি। পুলিশ সূত্রের খবর, টিআই প্যারেডের পর তাকেও হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।
পুরাতন মালদহের বালিয়া নবাবগঞ্জ গুজরঘাটে মহানন্দার পাড়ে ২২ অক্টোবর রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের লালগোলার এক গৃহবধূ। তাঁর সঙ্গে স্বামীও ছিলেন। অভিযোগ, অভিযুক্তদের একাংশ তাঁর স্বামীকে মারধর করে ও মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অনেক দূরে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। সেই সুযোগে ওই বধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। পরদিন ওই মহিলা নিজেই মালদহ থানায় প্রধান দুই অভিযুক্ত-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার চারদিন পরেও কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ২৭ অক্টোবর গাজল থেকে অশোক ওরফে ড্যানি কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত অশোককে টিআই প্যারেডে নির্যাতিতা শনাক্ত করেন। এরপরেই গত শনিবার অশোককে হেফাজতে পেতে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। বিচারক তাকে চারদিনের হেফাজতে পাঠায়। অশোক এ দিন জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর রাতে অপর অভিযুক্ত বাবলু ভগতের সঙ্গে সে গুজরঘাটে এসেছিল। সেইসময় ঘাটোয়ালের আদায় কেন্দ্রের বাঁশের মাচায় বসেছিল ওই বধূ ও তাঁর স্বামী। আশপাশে দু’তিনজন কিশোরও ছিল। স্বামীকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে তারা দু’জনে মিলে ওই বধূকে গণধর্ষণ করেন। প্রথমে বাবলু ও পরে সে নিজে ওই বধূকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে। সে আরও কবুল করেছে, সেই রাতেই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্ত অশোক সাহাকে নিয়ে দিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy