— নিজস্ব চিত্র।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেতার ছেলে। এমনই ছবি ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। আর এই ঘটনা ঘিরেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে মালদহের রতুয়ার কাহালায়। এই ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। যদিও ওই তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁর বদনাম করতেই চক্রান্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কাহালার তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জোহার ছেলে মহম্মদ ফারহাতের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, ফারহাতের হাতে রয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একের পর এক ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করতে চাইছে।
ছেলের কীর্তি নিয়ে বদরুজ্জোহার বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। বদরুজ্জোহার দাবি, তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এটা করা হয়েছে। এর জন্য কয়েক জন ‘দুষ্কৃতী’র ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন তিনি। তবে ‘দুষ্কৃতী’রা কোন দলের তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি বদরুজ্জোহা। অথচ ছবিটি যে বদরুজ্জোহার ছেলের তা স্বীকার করে নিয়েছেন কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি শেখ এন্তাজুল আলম। তিনি বলেন, ‘‘আমরাও সমাজমাধ্যমে ওই ছবি দেখেছি। এতে আমাদের কিছু করার নেই। যা করার পুলিশ প্রশাসন করবে।’’
এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘তৃণমূল পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। তাদের কোনও জনসমর্থন নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই মানুষকে ভয় দেখিয়ে ওরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। সেই কারণেই এই ধরনের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে।’’ বিজেপির অভিযোগের উত্তরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, কেউ অন্যায় করলে দল তার পাশে থাকবে না। এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy