(বাঁ দিকে) সাজ্জাক আলম এবং জাভেদ শামিম। —ফাইল ছবি।
বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়েও শনিবার সকালে গুলি চালিয়েছিলেন সাজ্জাক আলম। বাধ্য হয়ে পুলিশকেও গুলি চালাতে হয়। সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয় পলাতক বন্দির। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ‘এনকাউন্টারে’ সাজ্জাকের মৃত্যু নিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। তাঁর পাশে ছিলেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
গত বুধবার আদালত থেকে তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়েছিলেন একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক। জখম দুই পুলিশকর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর থেকেই সাজ্জাককে ধরার জন্য তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন। উত্তরবঙ্গে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। এর পর শনিবার সকালে জানা যায়, গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে ‘পুলিশি এনকাউন্টারে’ নিহত হন সাজ্জাক।
ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই আবহে শনিবার দুপুরে ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ জানান, বিভিন্ন সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পেরেছিল, সাজ্জাক বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। খবর পাওয়া মাত্রই কয়েকটি দল তৈরি করে পুলিশ। দলগুলিকে বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে পাঠানো হয়েছিল। যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তা-ই ঘটে। সাহাপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সাজ্জাক। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটে। জাভেদ বলেন, ‘‘সাজ্জাক আলমকে থামতে বলা হয়েছিল। পুলিশ দেখেই সে গুলি চালাতে শুরু করে। তিন-চার রাউন্ড গুলি চালায়। বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালিয়েছিল।’’
জাভেদ জানিয়েছেন, পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন সাজ্জাক। তাঁর পিঠে, গলায় এবং পায়ে গুলি লেগেছিল। কিন্তু তখনও জীবিত ছিলেন তিনি। পুলিশকর্মীরাই সাজ্জাককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসক সাজ্জাককে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালপোখরকাণ্ডের পর উত্তরবঙ্গে গিয়ে ডিজি রাজীব হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা যদি পুলিশের উপর একটি গুলি চালায়, পুলিশ তা হলে চারটি গুলি চালাবে। ডিজির ওই হুঁশিয়ারির পর এনকাউন্টারে সাজ্জাকের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ মহলে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy