নিউ চ্যাংরাবান্ধায় জল নিয়েও রয়েছে ক্ষোভ। ছবি: নিজস্ব চিত্র
মহকুমার উপর দিয়েই চলছে কলকাতাগামী একমাত্র ট্রেন। অথচ তার স্টপ না থাকায় কোনও সুবিধাই হচ্ছে না মেখলিগঞ্জের বাসিন্দাদের। ফলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
গত ২ অক্টোবর থেকে মেখলিগঞ্জ মহকুমার নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনের উপর দিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেস যাতায়াত করছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই স্টেশনে স্টপ দেওয়া হলে কলকাতাগামী ট্রেন ধরতে যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে বলে আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু ট্রেনটি ওই রুটে চালুর পর সাড়ে তিন মাস কেটে গেলেও তা হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ম্যানেজার সঞ্জীব কিশোর বলেন, “বিভিন্ন মহল থেকে ওই ট্রেনের স্টপ চালুর দাবি এসেছে। অন্য একাধিক স্টেশনেও এমন দাবি রয়েছে। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।”
বাসিন্দারা জানান, নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ রুটে পদাতিক এক্সপ্রেসটি মাথাভাঙা, জামালদহ, নিউ চ্যাংরাবান্ধা, এনজেপি হয়ে যাতায়াত করছে। কিন্তু এত দিনেও স্টপ চালু না হওয়ায় তাঁদের প্রায় ৮০ কিমি দূরে এনজেপি বা ৪০ কিমি দূরে মাথাভাঙা স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরতে হচ্ছে। ফেরার সময়েও তাঁরা এমনই সমস্যার মুখে পড়ছেন। অথচ নানা মহলে বারবার দাবি জানিয়েও সমস্যা সমাধানে আখেরে কিছু হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। মেখলিগঞ্জের বিডিও বিরূপাক্ষ মৈত্র বলেন, “আমাদের নজরেও এসেছে।”
বাসিন্দারা জানান, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের বাসিন্দাদের অনেকেই নানা প্রয়োজনে চ্যাংরাবান্ধা হয়ে যাতায়াত করেন। ব্যবসায়ীরাও নানা কাজে সেখানে আসেন। অথচ সেখানেই কলকাতাগামী ট্রেনের স্টপ না থাকায় তাঁরা দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন। প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, এলাকার জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠন, রফতানি কারবারে যুক্তদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা হয়েছে। ওই বৈঠকে ওঠা প্রস্তাব নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
একই দাবিতে সরব ডান-বাম দুই শিবিরের নেতারাও। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান বলেন, “দ্রুত স্টপ চালু করা দরকার। এ ব্যাপারে রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারী বলেন, “রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ না হলে আন্দোলন করা হবে।” পাশাপাশি স্টেশনের পানীয় জলে আয়রন নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ডিআরএম অবশ্য জানান, দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy